দেশের জনগণ দ্রুত সংস্কার শেষে স্বল্প সময়ের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন প্রত্যাশা করে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

জায়ামাতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘‘জামায়াত দেশ ও মানুষের স্বার্থে সংস্কার প্রত্যাশী। দ্রুত সংস্কার শেষে স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচনের প্রত্যাশা করে দেশের জনগণ।’’

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে দারুল আমান ট্রাস্ট ময়দানে পাবনা জেলা জামায়াতের বার্ষিক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

প্রস্তাবিত বিধানে ‘গুম-খুনে জড়িতরা’ নির্বাচনে অযোগ্য

চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন: আদালতের রায়ে ক্ষুব্ধ তারকারা

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘‘আমরা নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার চাই, এ জন্য জামায়াতে ইসলামির প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছি। এ বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা পর্যালোচনা থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘দেশে ইসলামি সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে সমাজ থেকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক বিশৃঙ্খলা দূর হবে, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রোধ করা হবে। প্রকৃত ইসলামি সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে মানুষের মন থেকে ইসলামিক ভীতি দূর হবে। মানুষ শৃঙ্খলবদ্ধভাবে জীবন পরিচালনা করে সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবে। কারো মনে সংশয় বা দ্বিধা থাকবে না।’’ 

জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল গাফফার খানের পরিচালনায় বক্তব্য দেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির ও বগুড়া অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা আব্দুর রহিম, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইন প্রমুখ।

ঢাকা/শাহীন/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

জনগণের ঐক্য থাকলে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকে কবর দিতে পারব: সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘যদি জনগণের ঐক্য থাকে, তাহলে এই দেশে ফ্যাসিবাদ যেমন পালিয়েছে, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকেও আমরা কবর দিতে পারব। আর যে লুটপাটের রাজত্ব, দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম হয়েছে, সেটাকেও আমরা কবর দিতে পারব।’

আজ শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই গণসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি। সমাবেশের আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ জুলফিকার আহমেদ শাকিলের মা আয়েশা বেগম সমাবেশ উদ্বোধন করেন।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘লুটপাট, দুর্নীতি আমরা বন্ধ করতে না পারলে দেশে নতুন ক্ষমতাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হবে না। শহীদদের স্বপ্নপূরণে নতুন রাজনৈতিক এবং ক্ষমতাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, ক্ষমতা দিয়ে টাকাপয়সা ধনসম্পদ আহরণ করা বাংলাদেশে গুম–খুন, অত্যাচার, ত্রাসের রাজত্বের ভিত্তি ছিল ফ্যাসিবাদী শাসন। ক্ষমতা দিয়ে টাকাপয়সা, ধনসম্পদ আহরণ করতে গিয়ে ব্যাংক, বিমা, ব্যবসা-বাণিজ্য, সব উন্নয়ন প্রকল্প—সব খেয়ে ফেলেছিল তারা।

এ সময় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের দায়িত্ব নিতে অন্তর্বর্তী সরকার কেন ব্যর্থ হয়েছে, তার ব্যাখ্যা ৫ আগস্টের মধ্যে জানানোর দাবি জানিয়েছেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক লক্ষণ দেখছি, যেন পুরোনো ব্যবস্থাই আবার আমাদের মধ্যে জায়গা করে নিচ্ছে। আমরা দেখলাম শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা এখনো হয়নি। আহতদের চিকিৎসা এখনো হয়নি।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। আজ শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুদ্ধাপরাধী শক্তিকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা জুলাই অভ্যুত্থানের সাংঘর্ষিক : কমরেড রতন
  • ফতুল্লায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাও. জব্বারের ব্যাপক গণসংযোগ
  • জনগণের ঐক্য থাকলে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকে কবর দিতে পারব: সাকি
  • ইসির প্রতিটি কাজে জবাবদিহি থাকতে হবে
  • জুলাই আন্দোলনকে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়াবেন না: টুকু
  • সবাই অপেক্ষা করছে একটা নির্বাচনের জন্য
  • সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে দেশে ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিতে পারে: তারেক রহমান
  • সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান
  • ট্রাম্পের প্রতি মার্কিন জনগণের সমর্থন ৪০ শতাংশে ঠেকেছে
  • জাতিসংঘে সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বৈঠক, ফিলিস্তিন ইস্যুতে উদ্বেগ