কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে রাবি শিবিরের ব্যতিক্রম আয়োজন
Published: 22nd, January 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ ও আবাসিক হলগুলোতে ষড়যন্ত্রমূলক পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর প্রতিবাদে ব্যতিক্রম আয়োজন করেছে শাখা ছাত্রশিবির।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে গণ কোরআন শরীফ বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। এদিন বিকাল পৌনে ৫টা থেকে পৌনে ৬টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করে তারা।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, “কোরআন একটা মহাগ্রন্থ। আল্লাহ নিজে এর হেফাজতকারী। কোনো দুষ্কৃতকারী যদি এটা ধ্বংস করার চেষ্টা করে, সেটা সে কখনোই পারবে না; সম্ভব নয়। এটা হচ্ছে একটা নূর, এ নূরের আলোতে আমরা আমাদের জীবনকে আলোকিত করতে পারবো। ছাত্রশিবিরের এই গণ কোরআন বিরতণ কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাই।”
রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, “যখন সুইডেন, কানাডা, ইউরোপ আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে কোরআন পুড়িয়ে ফেলা হত, রাসুল (সা.
তিনি বলেন, “এর প্রতিবাদেব আজ আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন বিতরণ করছি। কোরআন নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের যে ভীড় দেখলাম, এতেই বোঝা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোরআনকে কতটা ভালোবাসেন।”
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “এর আগেও আমরা প্রতিবাদলিপি দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসনের কোন অগ্রগতি দেখতে পাইনি। এজন্য আমরা গণ কোরআন বিরতণ কর্মসূচি দিয়েছি। প্রশাসন যদি দ্রুত কোন ব্যবস্থা না নেয়, আমরা আরো কর্মসূচি দেব। সেক্ষেত্রে বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল হতে পারে।”
তিনি বলেন, “কোন সুবিধাবাদী দল যেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বা দাঙ্গা লাগাতে না পারে, সেটা আমরা খেয়াল রাখব। এছাড়া দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।