দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভার বিভিন্ন সড়কের গাছ ব্যানার, সাইনবোর্ড ও পোস্টারে ঢেকে যাওয়ায় পরিবেশের ক্ষতি এবং নান্দনিকতার অবনতি ঘটছে দীর্ঘদিন ধরে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় পৌর প্রশাসকের নির্দেশে ব্যানার-সাইনবোর্ড অপসারণে মাঠে নেমেছে পৌর প্রশাসন।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌরসভা প্রশাসক সাব্বির হোসেনের নেতৃত্বে পৌর এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশ রক্ষা অভিযান চলে। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে পরিচালিত এ অভিযানে হাকিমপুর উপজেলা চত্বর, হিলি বাজার, সরকারি কলেজ মোড়, বাসস্ট্যান্ড এলাকা, রেলস্টেশন রোডসহ শহরের বিভিন্ন সড়ক থেকে গাছের গায়ে পেরেক লাগানো ব্যানার, সাইনবোর্ড ও পোস্টার অপসারণ করা হয়।

আরো পড়ুন:

সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে পটুয়াখালীতে বৃষ্টি, ভোগান্তি

কালজানি নদী দিয়ে ভেসে এসেছে হাজারো গাছের গুঁড়ি

অভিযান চলাকালে গাছের কাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং পেরেক ঠুকে ব্যানার টাঙানো পরিবেশবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

হিলি পৌর প্রশাসক সাব্বির হোসেন বলেন, ‘‘গাছ আমাদের পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অথচ গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে সাইনবোর্ড ও ব্যানার ঝুলানো হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ও আইনবিরোধী। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আজ থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে এবং এ কার্যক্রম নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘পৌর এলাকার সৌন্দর্য পুনরুদ্ধার ও পরিবেশ রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। কেউ যেন গাছের ক্ষতি করে পুনরায় ব্যানার বা সাইনবোর্ড না ঝুলাতে পারে, সেজন্য নিয়মিত তদারকি করা হবে এবং প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’ 

পৌর প্রশাসনের এই উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা পরিবেশ রক্ষায় এমন কার্যক্রম নিয়মিত করার দাবি জানান।

ঢাকা/মোসলেম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রসভ স ইনব র ড ও পর ব শ র প রসভ

এছাড়াও পড়ুন:

সারকোজির কারাবাস শুরু মঙ্গলবার, বই লিখবেন কারাগারে

ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির কারাবাস শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার। প্যারিসের একটি কারাগারে পাঁচ বছরের কারা ভোগ করতে হবে তাঁকে। কারাগারে যাওয়ার আগে সারকোজি বলেছেন, তিনি ‘ভীত নন’। আর কারাগারে থাকার সময় বই লিখবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

‘অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ৭০ বছর বয়সী নিকোলা সারকোজিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন প্যারিসের আদালত। যুদ্ধ-পরবর্তী ফ্রান্সের প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন জোটভুক্ত কোনো দেশের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে কারাগারে যাচ্ছেন তিনি।

২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন সারকোজি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তাঁকে নির্বাচন করার জন্য অর্থ দিয়েছিলেন লিবিয়ার তৎকালীন নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি। যদিও সারকোজি নিজেকে ‘নির্দোষ’ বলে দাবি করে আসছেন।

প্যারিসের লা সান্তে নামের একটি কারাগারে নেওয়া হবে সারকোজিকে। এর আগে গতকাল রোববার তিনি ফরাসি সংবাদমাধ্যম লা ত্রিব্যুন দিমঁশকে বলেছেন, ‘কারাগার নিয়ে ভীত নই। সান্তের ফটকেও আমি মাথা উঁচু করেই ঢুকব।’ কারাগারে বিশেষ সুবিধাও চান না বলে জানিয়েছেন।

সারকোজি লা ত্রিব্যুন দিমঁশকে বলেন, কারাগারে থাকার সময় কোনো অভিযোগ অথবা কারও সহানুভূতি নিতে চান না তিনি। তাঁকে উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি আরও বলেছে, কারাগারে থাকার সময়টি একটি বই লেখার কাজে ব্যয়ের পরিকল্পনা করেছেন বলে জানিয়েছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ