সোহাগ-হুমায়ূন যুবদলের কেউ নয়, কোনো সন্ত্রাসীর দায়ভার নিবে না মহানগর যুবদল
Published: 23rd, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আওতাধীন বন্দর থানা যুবদলের কোনো কমিটি নেই। আর কাজী সোহাগ ও হুমায়ূন কবির যারা যুবদলের নাম বিক্রি করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও চাঁদাবাজি করছে। তারা যুবদলের সুনামকে ক্ষুন্ন করছেন । তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
আর কোন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের অপকর্মনের দায় দায়িত্ব মহানগর যুবদল নিবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব শাহেদ আহমেদ।
জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের যুবদলের আওতাধীন বন্দর থানা যুবদল নেতা পরিচয় দিয়ে কাজী সোহাগ ও হুমায়ূন কবির বন্দর খেয়াঘাটের সিএনজি স্ট্যান্ড দখলে নিতে প্রকাশ্যে গোলাগুলি ঘটনা ঘটেছে। যা ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের অনেক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে যুবদল নেতা বলে তাদেরকে পরিচয় দেওয়া হয়েছে।
আর এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনা যদি কেউ দলের বিক্রি করে কোন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করবে তাদেরকে ধরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করুন।
আর কোন ব্যক্তি দায়ভার দল বহন করবে না। ঠিক একইভাবে বলতে চাই কাজী সোহাগ ও হুমায়ুন কবির বন্দর থানা কিংবা ওয়ার্ড যুবদলের কেউ না। আর বন্দর থানা ও ওয়ার্ডের যুবদলের কোন কমিটিও নেই। কিন্তু কাজী সোহাগ ও হুমায়ুন কবির যুবদলের নাম বিক্রি করে তারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চাঁদাবাজি ও দখল বাণিজ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত আছে।
আমরা বলতে চাই যুবদলের কোনো সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের স্থান নেই। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব কোনো সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের অপকর্মের দায়ভার নিবে না। যারা যুবদলের নাম বিক্রি করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
দলীয় সূত্র জানায় -কেন্দ্রীয় যুবদলের তৎকালীন সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নির্দেশক্রমে বিগত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সময়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আওতাধীন বন্দর থানা যুবদলসহ সকল ইউনিট কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বন্দর থানা যুবদল ও ওয়ার্ড যুবদলের বিভিন্ন পদপদবী ব্যবহার করে নিজেদেরকে সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক বলে জাহির করছে অনেকেই এমনটিই তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য সূত্র আরও জানাগেছে, সম্প্রীতি গত ৫ই আগস্টের পর থেকে বন্দর থানার বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, বাজার, বাসস্ট্যান্ড, খেয়াঘাট দখল বানিজ্য করতে বন্দর হুমায়ুন কবির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কাজী সোহাগ ২২নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি পরিচয় দিয়ে নিজেদেরকে জাহির করার চেষ্টা করছেন। বর্তমানে বন্দর থানা যুবদলের কোন কমিটি নেই। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে যারা রাজপথে ছিল তাদেরকে নিয়ে শীগ্রই বন্দর থানা যুবদলের কমিটি গঠন করা হবে।
এদিকে গত মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা বন্দর খেয়াঘাটের সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিতে কাজী সোহাগের প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ার ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে আর দেখা যায়, কাজী সোহাগ সাদা গেঞ্জি পরে প্রকাশ্যে রাস্তায় দৌড়ে দৌড়ে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করছেন। অপর দিকে অস্ত্রধারী কাজী সোহাগকে ধাওয়া করছে হুমায়ন গ্রুপ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বদল য বদল ন র য়ণগঞ জ য বদল র ক ন র য বদল র
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ পাকিংয়ে তীব্র যানজট, জনদুর্ভোগ চরমে
বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যানজট। এ যানজটের কারণে মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা পেরুতে সময় লেগে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। ফলে প্রতিনিয়ত চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসীকে।
নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগ কিংবা সিটি কর্পোরেশন এ যানজট থেকে জেলাবাসীকে পরিত্রাণ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে দিন যতই বড়ছে ততই বাড়ছে নারায়ণগঞ্জবাসীর দুর্ভোগ।
নারায়ণগঞ্জে এমন কোন সড়ক নাই সেই সড়কে যানজট নাই। মূল সড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলি সব জায়গায়ই যানজট আর যানজট। তবে এ যানজটের পেছনে মূল সড়কের যানজটকেই দায়ি করছেন অনেকে।
তারা বলছেন, মূল সড়ক যদি যানজট মুক্ত থাকতো তাহলে এর আশেপাশের সড়কগুলো যানজটের সুষ্টি হতো না। মূল সড়কে তীব্র যানজটের কারণেই এর প্রভাব পড়ছে অন্য সড়কগুলোতেও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে শহরের চাইতে চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণে করেছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচলের কথা শুনলেই মানুষ আতকে উঠে। কারণ, যানজটের মাত্র পনেরো মিনিটের রাস্তা পাড় হতে সময় লাগে ঘন্টার পর ঘন্টা।
এ রাস্তায় এ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীকেও যানজটে আটতে থাকতে দেখা যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। একবার যানজটে আটকা পড়লেই দিন শেষ। কখন বাড়ী কিংবা অফিসে যাবেন তার কোন ঠিক নেই।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, এ যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে পঞ্চবটি-মুক্তারপুর ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ। ফ্লাইওভারের কর্মযজ্ঞের ফলে যানবাহনগুলোকে একটু ধীর গতিতে যেতে হয়। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
তবে এ যানজটের আরও একটি বড় কারণ চোঁখে পড়ে, আর তা হলো পঞ্চবটি এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচে এবং চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কের দু’পাশে ট্রাক ও কভার্ডভ্যানগুলো অবৈধভাবে পাকিং করে রাখা।
এসব যানবাহনগুলো সড়কের দু’পাশে পার্কিং করে রাখার কারণে মূল সড়ক অনেকটাই সরো হয়ে যায়। ফলে এ সড়ক দিয়ে অন্যসব যানবাহনগুলো ঠিকমত চলাচল করতে পারে না। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
অথচ, পঞ্চবটির খুব কাছেই রয়েছে ট্রাক ও কভার্ডভ্যান স্ট্যান্ড। যানবাহনের চালকরা ওই স্ট্যান্ডে গাড়ী না রেখে সড়কের পাশে অবৈধভাবে বাঁকাত্যাঁড়া গাড়ীগুলো রাখছেন। এর ফলে যে, ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং যানজটের কবলে পড়ে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, এ বিষয়ে যেন তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।
তাদের ভাব-নমুনা দেখা মনে হয় যে, তারাই যেন এ সড়কটির মূল মালিক। না পুলিশে তাদের কিছু বলে, না তারা জনগণের কোন কথা শোনে। তারা তাদের ইচ্ছেমত গাড়ীগুলো রেখে যানজটের সৃষ্টি করছেন।
চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে চলাচল করা ভুক্তভোগী পথচারিরা বলছেন, এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করাটা বর্তমানে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এত ভয়াবহ যানজট আমরা কখনোই চোঁখে দেখিনি। পঞ্চবটি ফ্লাইওভারের নিচে যেভাবে ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো রাখা হয় পুরো সড়কটা তারা কিনে নিয়েছে। পুলিশও কিছু বলে না।
এছাড়া চাষাঢ়া থকে পঞ্চবটি পর্যন্ত পুরো সড়কে দু’পাশেই তারা গাড়ীগুলো রাখছেন। রাস্তাটি পাশে এমনিতেই জায়গা কম, আবার যদি তারা এভাবে গাড়ী রাখেন তাহলে যানজটের সৃষ্টিতো হবেই। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল বলেন, আসলে নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে ট্রাক স্ট্যান্ডটি সরিয়ে নেয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আইভী একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। তিনি শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে পঞ্চবটি এলাকাতে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে একটি ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে তোলেন এবং সেখানে এ স্ট্যান্ডকে স্থানান্তর করেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
এখন তারা কিছু গাড়ী ওই স্ট্যান্ডে রাখে বাকি গাড়ীগুলো সড়ক দখল করে এলোপাথারিভাবে রাখে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলেও যেন কারো কোন কিছু বলার নেই। কারণ, এ সমস্যা নিয়ে বহুবার ডিসি-এসপির সাথে বসা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে কিন্তু সুরাহা হয় নাই।
তবে, ৫ আগস্টে দেশে একটি বড় পরিবর্তনের পর আশা করছিলাম এবার হয়তো এর একটা সুরাহা হবে। কিন্তু না। সড়ক দখল করে রাখা ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে মানুষকে বাধ্য হয়েই যানজটের মত দুর্ভোগ দুর্দশাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পথ চলতে হচ্ছে।
তারা বলেন, আসলে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য সেদিন ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এতবড় একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু দেশের মানুষ যদি সেই শান্তি শৃঙ্খলা ভোগই করতে না পারে, তাহলে এত প্রাণ দিয়ে কি লাভ হলো?
আমরা জানিন না, প্রশাসন আসলে কাদেরকে খুশি করাতে চাচ্ছেন? মুষ্টিম কিছু চালকদের জন্য হাজার হাজার মানুষের এ কষ্ট কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি করবো, তারা যেন খুব শীঘ্রই এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়। নারায়ণগঞ্জবাসীকে যেন কিছুটা স্বস্তি দেয়।
এ বিষয়ে টিআই করিম বলেন, ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জে যানজটের যে ভয়াবহতা সৃষ্টি হয়েছিলো বর্তমানে তা কমে আসছে। আশাকরছি, আগামীতে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। পঞ্চবটি সড়কে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এজন্য এ রুটে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এমতাবস্তায় যদি কোন চালক রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে গাড়ী পার্কিং করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।