কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী এক বিপ্লব ঘটিয়েছে। শিক্ষাও তার বাইরে নয়। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশেও এই প্রযুক্তি শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি, বিস্তার এবং শিক্ষার সামগ্রিক ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণে ব্যাপক সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি করছে। আজ আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবসে প্রতিপাদ্য– ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শিক্ষা: স্বয়ংক্রিয়তার যুগে মানবিক ক্ষমতা সংরক্ষণ’। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা যেতে পারে, এটি বর্তমানে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তিকেন্দ্রিক শেখার অভাবনীয় সুযোগ প্রদান করছে, যা কিছুদিন আগেও আমাদের কল্পনায় ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, অ্যাডাপ্টিভ লার্নিং প্ল্যাটফর্মগুলো শিক্ষার্থীদের শেখার সক্ষমতা বিশ্লেষণ করে তাদের প্রয়োজন ও সক্ষমতা অনুযায়ী শেখার ক্ষেত্রকে সাজাতে এবং শেখার সুযোগ দিতে পারে। 

একটি শ্রেণির প্রত্যেক শিক্ষার্থীর শেখার অগ্রগতি, পাঠে সম্পৃক্ততা এবং পারফরম্যান্সের তথ্য সংগ্রহ, পর্যবেক্ষণ করে এর আলোকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য আলাদা শেখার অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পারে এআই; যার মাধ্যমে এ ধরনের প্রযুক্তি আমাদের শহর ও গ্রামের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য কমাতে সাহায্য করবে বলে আমরা আশাবাদী। এ ছাড়া শিক্ষকদের কাজকে সহজ করতে এআইর ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। শিক্ষকরা এখন এআইর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণ; খুব সহজে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ প্রস্তুত করতে পারেন, যার ব্যবহার শিক্ষাদান পদ্ধতিকে আরও উন্নত করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। 

বাংলাদেশের মতো দেশে, যেখানে জনসংখ্যার বড় অংশ এখনও মানসম্মত শিক্ষার আওতার বাইরে, সেখানে এআই শিক্ষার সামগ্রিক মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, যা সমতাভিত্তিক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি ও বিস্তারে বিরাট অবদান রাখবে। এআইর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি। বাংলাদেশ এখন শিল্পবিপ্লব ৪.

০-এর যুগে প্রবেশ করছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের জন্য এআই ও অন্যান্য উদ্ভাবনী প্রযুক্তি শেখা অত্যন্ত জরুরি, যা তাদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সাম্প্রতিক বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম তাদের ‘দ্য ফিউচার অব জবস রিপোর্ট ২০২৫’-এ বিশ্বের এক হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর জরিপ পরিচালনা করে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান এআই ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের ব্যবসার কাঠামো পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করেছে। ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান কর্মীদের এআই সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে এবং ৬৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান এআই দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এতে আমরা সহজেই অনুমান করতে পারি, ভবিষ্যৎ চাকরি বাজার এআইনির্ভর হবে এবং এআইর দিকেই ঝুঁকছে।      

যদিও এআই শিক্ষার মান উন্নয়নের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার, তবে এর বাস্তবায়নে বাংলাদেশে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রথমত, দেশের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনও পর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত অবকাঠামোর অভাব রয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগের সীমাবদ্ধতা, উন্নত কম্পিউটারের অভাবে এআইভিত্তিক সিস্টেমের ব্যবহার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে প্রযুক্তিগত সুবিধার ঘাটতি এআই বাস্তবায়নের পথে বড় বাধা। দ্বিতীয়ত, এআই ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তির অভাব রয়েছে। অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং শিক্ষা প্রশাসক আছেন, যারা এআই সম্পর্কে এখনও জানেন না। তাদের এআই ব্যবহারে প্রশিক্ষিত করতে সময় ও অর্থের প্রয়োজন। তৃতীয়ত, এআই বাস্তবায়নে বড় ধরনের আর্থিক বিনিয়োগ প্রয়োজন। বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে বাজেট সীমিত হওয়ায় এই বিনিয়োগকে কার্যকর করার জন্য পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্ব অপরিহার্য। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটি হলো শিক্ষার মানবিক দিক হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতি অতি নির্ভরশীলতা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, মূল্যবোধ এবং সমালোচনামূলক চিন্তাধারার দক্ষতাকে প্রভাবিত করতে পারে।    

যদিও বর্তমানে এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য সঠিক কৌশল গ্রহণ করলে এআই বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রকে অদূর ভবিষ্যতে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

এআইভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের তরুণ প্রজন্মকে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত করতে পারি। বাংলাদেশ সরকার যদি এআইকে চলমান শিক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে, তাহলে পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হবে। এআই ব্যবহার করে ক্লাসরুমে শিক্ষাদান পদ্ধতিকে আরও আকর্ষণীয় ও কার্যকর করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের অভিজ্ঞতাকে বাস্তবধর্মী করা সম্ভব। তা ছাড়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত) শিক্ষা উন্নত করা যাবে। এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও দক্ষ করে তোলার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ ব্যবস্থা আত্মস্থকরণেও এআই সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এক অপার সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ নিয়ে এসেছে। এটি সমভাবে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বৈষম্য দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর একটি হাতিয়ার। তবে এ প্রযুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের জন্য যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা মোকাবিলার জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ অত্যাবশ্যক। সঠিক পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিভিত্তিক অবকাঠামো গড়ে তোলা গেলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। এর মাধ্যমে আমরা এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব, যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিশ্বমানের দক্ষতায় উন্নীত করবে এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

মো. রমজান আলী: ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার ফর এডুকেশন, ইউনেস্কো, ঢাকা

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এআই ব যবহ র ব যবস থ র জন য ত করত

এছাড়াও পড়ুন:

ভোগবাদী যুগে ইসলামে সুখের খোঁজ

আপনার বাড়িতে কি অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের স্তূপ জমে আছে? জানেন কি, এর থেকে মুক্তির পথ আছে ইসলামের সরল জীবনধারায়? আধুনিক বিশ্বে ভোগবাদের তীব্র ঝড়ে আমরা প্রায়ই নিজেদের দেখি অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে ঠাসা ঘরে।

নতুন ফ্যাশনের পোশাক, সর্বশেষ প্রযুক্তির গ্যাজেট বা মধ্যরাতে এক ক্লিকে কেনা অপ্রয়োজনীয় পণ্য—এসব আমাদের জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ইসলাম আমাদের ন্যূনতম একটি সরল জীবনধারার পথ দেখায়, যা পার্থিব লোভ থেকে মুক্ত করে আমাদের আল্লাহর পথে নিবেদিত হতে উৎসাহিত করে।

আয়েশা, তুমি যদি আমার সঙ্গে মিলিত হতে চাও, তবে এই দুনিয়া থেকে একজন পথিকের প্রয়োজনীয় জিনিসের মতো সামান্য গ্রহণ করো।সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ১৭,৮০০সংযম কেন জরুরি

মিনিমালিজম বা ন্যূনতাবাদ এমন একটি জীবনধারা, যেখানে আমরা শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর নির্ভর করব এবং অতিরিক্ত ভোগবিলাস থেকে দূরে থাকব। ক্রমাগত কেনাকাটার দিকে প্রলুব্ধ না হয়ে শুধু যেটুকু না হলেই জীবন চলে না, সেটুকু নিজের কাছে রাখব।

আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে আদম সন্তান, প্রত্যেক নামাজের সময় বেশভূষা সৌন্দর্য গ্রহণ করো, খাও এবং পান করো, কিন্তু অপচয় কোরো না। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা আ’রাফ, আয়াত: ৩১)।

এই আয়াত আমাদের জীবনে সংযম ও সরলতার গুরুত্ব মনে করিয়ে দেয়।

আরও পড়ুনদুনিয়ার ভোগ–বিলাস নিয়ে সুরা তাকাসুরের সতর্কতা১০ এপ্রিল ২০২৩

বিজ্ঞাপনের প্রলোভন আজকাল আমাদের অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটার দিকে ঠেলে দেয়। প্রায়ই এমন জিনিস কিনে ফেলি, যেমন একটি ইউএসবি মগ হিটার বা জামাকাপড়, যা তারপর বছরের পর বছর অব্যবহৃত পড়ে থাকে।

বাড়িতে জমে থাকে প্যাকেট না খোলা গ্লাস–বক্স, অপঠিত বইয়ের স্তূপ। প্রশ্ন করে দেখি তো, আমাদের আসলেই কি এগুলো প্রয়োজন ছিল?

মহানবী (সা.)-এর সাদাসিধা জীবন

মহানবীজি (সা.) এবং তাঁর সাহাবারা সরল জীবনযাপনের উজ্জ্বল উদাহরণ। হজরত আয়েশা (রা.)-কে নবীজি বলেছিলেন, ‘হে আয়েশা, তুমি যদি আমার সঙ্গে মিলিত হতে চাও, তবে এই দুনিয়া থেকে একজন পথিকের প্রয়োজনীয় জিনিসের মতো সামান্য গ্রহণ করো। ধনীদের সঙ্গে মেলামেশা থেকে সাবধান থাকো এবং কোনো পোশাককে তখনই জীর্ণ হয়ে গেছে মনে করো, যখন তুমি তাতে প্যাঁচ লাগিয়েছ (মানে যখন পুরোনো হয়ে যাওয়ার কারণে পেঁচিয়ে যায়)।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ১৭,৮০০)।

এই হাদিসে নবীজি (সা.) স্পষ্টভাবে সরল জীবনযাপন এবং অতিরিক্ত সম্পদ সঞ্চয় থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

উপহারের পরিবর্তে আমরা দাতব্য সংস্থায় দানের জন্য অনুরোধ করতে পারি। এমনকি আমাদের একটি অনলাইন সাবস্ক্রিপশন বাতিল করে সেই অর্থ স্থানীয় মসজিদে দান করতে পারি।

ইসলাম আমাদের শেখায় যে পার্থিব সম্পদ ক্ষণস্থায়ী এবং এটি আমাদের চিরস্থায়ী জীবনের জন্য প্রস্তুতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। নবীজি (সা.) কখনো অপ্রয়োজনীয় সম্পদ সঞ্চয় করেননি এবং সব সময় দানশীলতার মাধ্যমে আল্লাহর পথে ব্যয় করতে উৎসাহিত করেছেন।

দানের সংস্কৃতি

আজকের বিশ্বে ভোগবাদী সংস্কৃতি আমাদের জীবনকে জটিল করে তুলেছে। ক্রেডিট কার্ড, সহজলভ্য ঋণ এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো আমাদের ক্রমাগত কেনাকাটার দিকে প্রলুব্ধ করে। আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম, যেমন আমাদের দাদা-দাদিরা, সীমিত সম্পদের মধ্যে সরল জীবন যাপন করতেন। কিন্তু গত কয়েক দশকে বিশ্বব্যাপী মধ্যবিত্ত শ্রেণির উত্থান এবং সহজে ঋণ পাওয়ার সুযোগ আমাদের ভোগবাদী প্রবৃত্তিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুনখাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে ইসলামের নির্দেশনা০৯ জুন ২০২৫

কিন্তু ইসলাম আমাদের শেখায়, প্রয়োজনের বাইরে অতিরিক্ত সম্পদ সঞ্চয় করা লোভ ও কৃপণতার দিকে নিয়ে যায়, যা একজন মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়।

ইসলাম আমাদের জীবনকে সরল করার পাশাপাশি আল্লাহর পথে ব্যয় করতে উৎসাহিত করে। আমরা চাইলে মাসিক বাজেটের একটি অংশ দানের জন্য বরাদ্দ করতে পারি।

যে ব্যক্তি নিজের সম্পদে সংযমী হয় এবং আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে যায়।সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯৯৪

বিয়ের মতো উৎসবে আমরা বিলাসবহুল আয়োজনের পরিবর্তে সরলতা বেছে নিতে পারি। উপহারের পরিবর্তে আমরা দাতব্য সংস্থায় দানের জন্য অনুরোধ করতে পারি। এমনকি আমাদের একটি অনলাইন সাবস্ক্রিপশন বাতিল করে সেই অর্থ স্থানীয় মসজিদে দান করতে পারি।

নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের সম্পদে সংযমী হয় এবং আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে যায়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯৯৪)।

আমাদের ভালো কাজ এবং দানশীলতা পরকালে যেমন উপকারে আসবে, তেমনি সমাজের জন্যও হবে কল্যাণকর। অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে দানশীলতার দিকে মনোযোগ দিলে সমাজের দরিদ্র ও অভাবী মানুষের জীবন উন্নত হবে।

ভোগবাদী জীবন মানুষকে অস্থির করে তোলে এবং ন্যূনতম খরচের জীবনধারা মানুষকে তৃপ্তির জীবন উপহার দেয়। এটি একই সঙ্গে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনেরও একটি পথ।

আমরা যদি আমাদের অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে আল্লাহর পথে ব্যয় করি, তবে তা আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনকে সমৃদ্ধ করবে। ন্যূনতমবাদ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমাদের প্রকৃত সুখ পার্থিব সম্পদে নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালের প্রস্তুতিতে নিহিত।

আরও পড়ুনআধুনিক এই প্রবণতার শিকড় ইসলামে২০ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ