Risingbd:
2025-06-16@08:32:16 GMT

শেষ গন্তব্যে বিপিএল

Published: 25th, January 2025 GMT

শেষ গন্তব্যে বিপিএল

অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে ‘বিপিএল এক্সপ্রেস’ যাত্রা শুরু করেছিল ঢাকা থেকে। সিলেট, চট্টগ্রাম ছুটে তা এখন পৌঁছেছে শেষ গন্তব‌্য ঢাকায়। যেখানে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্দা নামবে বিপিএলের।

৪৬ ম‌্যাচের বিপিএলের শেষ হয়েছে ৩২ ম‌্যাচ। বাকি ১০ ম‌্যাচ রয়েছে রাউন্ড রবিন লিগের। এরপর দুইটি কোয়ালিফায়ার, একটি এলিমিনেটর এবং সবশেষ ফাইনাল।

পয়েন্ট টেবিলের যে চিত্র তাতে সেরা চারের দৌড় থেকে এখনো ছিটকে পড়েনি কোনো দল। রংপুর রাইডার্স ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে নিশ্চিত করেছে প্লে অফ। ১২ ও ১০ পয়েন্ট নিয়ে সেই দৌড়ে এগিয়ে আছে ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস। ৮ পয়েন্ট নিয়ে চার ও পাঁচ নম্বর পজিশনে খুলনা টাইগার্স ও দুর্বার রাজশাহী। ৬ ও ৪ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম স্থানে আছে ঢাকা ক‌্যাপিটালস ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।

আরো পড়ুন:

বিপিএল খেলে কানাকড়িও পাননি ইমন, সামির কাদেরের হাতে আটকা

বিতর্কে শেষ হলো বিপিএলের চট্টগ্রামের পর্ব, প্লে’অফের দৌড়ে কারা?

নানা সমীকরণে খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা ও সিলেটের প্লে’ অফ যাত্রা টিকে আছে। রান রেটের হিসেবের ম‌্যাড়প‌্যাচ, অন‌্যান‌্য দলের জয়-পরাজয়ের সমীকরণের ওপর নির্ভর কছে তাদের শেষ চারে যাওয়ার লড়াই।

ঢাকায় প্রথম পর্বে ও সিলেটে রান বন‌্যায় ভেসেছিল বিপিএল। ঢাকায় প্রথম ৮ ম্যাচে ছক্কা হয়েছিল মোট ১৩২টি। সিলেটে ১২ ম্যাচে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ২১০টি। ঢাকায় ম্যাচ প্রতি ছক্কা হয়েছে ষোলোটি। সিলেটে সতেরটি। দুই মাঠের সীমানা নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়েছিল। মাঠ ছোট হওয়ার সুযোগ কাজে লাগান ব‌্যাটসম‌্যানরা। তাতে বোলারদের মুখের হাসি কেড়ে নেয়।

চট্টগ্রামে খেলা হয়েছিল আদর্শ ক্রিকেট মাঠে। যেখানে সীমানা ছিল একেবারেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠের আয়তনে। তাতে রান ফোয়ারা ছুটেনি। কিন্তু খেলা হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ। চট্টগ্রামে ১২ ম‌্যাচে ছক্কা হয়েছে ১৮০টি। ম‌্যাচ প্রতি সেই সংখ‌্যাটি আসে পনেরতে। রান তুলনাতেও সিলেট এগিয়ে। ১২ ম‌্যাচে রান হয়েছে ৪১৫৪। চট্টগ্রামে সমান ম‌্যাচে ৩৭৯৬।

ঢাকায় শেষ কয়েক ম‌্যাচের সীমানা বাড়বে বলেই জানা গেছে। প্রথম পর্বের মতো হচ্ছে না। তাতে শেষের লড়াই গুলোতে আরও প্রতিদ্বন্দীতা বাড়বে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শেষের এই লড়াইয়ে কার ভাগ‌্যে শিরোপা লিখা হয় সেটাই দেখার। 

ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক

গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।

ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন। 

লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।

ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।

ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।

ঢাকা/রফিক/টিপু  

সম্পর্কিত নিবন্ধ