ই-অরেঞ্জের সোনিয়া-মাশুকুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
Published: 25th, January 2025 GMT
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পূর্বের মালিক সোনিয়া-মাশুকুরের জামিন চেয়ে মাববন্ধন করেছেন গ্রাহকরা। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গ্রাহকদের উদ্যাগে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে গ্রাহকরা বলেন, ই-অরেঞ্জের বর্তমান মালিক বীথি আক্তার এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমানুল্লাহ মুক্ত অবস্থায় থাকলেও গ্রাহকদের জন্য কাজ করছেন না। গ্রাহকদের অর্থ ফেরতের কোনো আশা বা নিশ্চয়তার দায়িত্ব কেউ দিচ্ছেন না।
এদিকে সোনিয়া বর্তমানে মালিক না হয়েও তার আইনজীবীর মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মালিকানা ফেরত চেয়ে যোগাযোগ শুরু করেন বলে জানা গেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্স দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, আদালতের মাধ্যমে মালিকানা সমস্যা নিরসন করতে হবে। যদি সোনিয়া মালিকানা ফেরত পান, তাহলে তাকে ব্যবসা করতে অনুমতি প্রদান করা সম্ভব হবে।
সম্প্রতি সোনিয়ার আইনজীবী জানিয়েছেন, সোনিয়া সকল গ্রাহকের দায়িত্ব নিতে চান। কিন্তু এখন যদি তিনি জামিন না পান, তাহলে সকল চেষ্টাই বৃথা যাবে।
গ্রাহকদের মানববন্ধন থেকেও সোনিয়া-মাশুকুরের জামিনে মুক্তির বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তারা বলেন, কেবল সোনিয়া-মাশুকুরের মুক্তিই হাজার হাজার গ্রাহককে আর্থিক ক্ষতি হতে বাঁচাতে পারে।
গ্রাহকরা জানান, টাকা পাওয়ার আশা যখন একদমই ক্ষীণ ছিল, এ অবস্থায় সোনিয়া-মাশুকুরের এগিয়ে আসা আবার আশার আলো দেখাচ্ছে। এটা সম্ভব হতে পারে, যদি সোনিয়া-মাশুক জামিন পান।
জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে সোনিয়া-মাশুকুরের একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। সকল গ্রাহকদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হচ্ছে, যাতে তাদের ইতোপূর্বে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশটি বহাল থাকে।
এ বিষয়ে প্রায় ৫০০ গ্রাহকের স্বাক্ষর করা একটি চিঠি এটর্নি জেনারেলসহ আরও কয়েকটি সরকারি দপ্তরে ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে।
মানববন্ধন থেকে আরও বলা হয়, যদি তাদের হাইকোর্টের জামিন আদেশ বহাল না থাকে এবং অতি সত্তর জামিনে মুক্ত করা না যায়, তবে বড় ধরনের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র হকদ র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে বিএনপি নেতাকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে জুম্মাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তাঁর অনুসারীরা। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নন্দনপুর বাজারে ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে নন্দনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন ওরফে মিমকে বিদ্যালয়ে যেতে না দেওয়ার অভিযোগে গত বুধবার পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলামকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করে জেলা বিএনপি।
বুধবার দল থেকে আজীবন বহিষ্কারের পরও সেদিন বিকেলেই আয়োরুল ইসলাম পুঠিয়ার জিউপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত এক কর্মসূচিতে প্রধান বক্তা হিসেবে অংশ নেন।
‘পুঠিয়া-দুর্গাপুরের সর্বস্তরের জনসাধারণ’–এর ব্যানারে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের দোসর নন্দনপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে দলীয় কার্যালয় বানিয়েছিলেন। শিক্ষার পরিবর্তে সেখানে প্রতিদিন চলত আওয়ামী লীগের মিছিল–সভা, আর বিএনপি নিধনের পরিকল্পনা।
বক্তারা দাবি করেন, ৫ আগস্টের পর স্থানীয় লোকজন মনোয়ার হোসেনকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেননি। এরই জের ধরে বিএনপির ত্যাগী নেতা আনোয়ারুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। অবিলম্বে অবৈধ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান বক্তারা। তা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে তাঁরা হুঁশিয়ার করেন।
এ বিষয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে নিয়মবহির্ভূতভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক। আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসন করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে, যার কোনো ভিত্তি নেই।’