Samakal:
2025-11-03@05:24:15 GMT

মুলতানে হারের মুখে পাকিস্তান

Published: 26th, January 2025 GMT

মুলতানে হারের মুখে পাকিস্তান

প্রথম দিন সকালে ৩৮ রানে ৭ উইকেট হারানো উইন্ডিজ কি এমন কিছু ভেবেছিল? হয়তো সে সুখানুভূতির কারণেই গতকাল শেষবেলায় সৌদ শাকিলের ক্যাচ ফেলার পরও কোনো আক্ষেপ ছিল না ক্যারিবিয়ান কিপার টেভিন ইমলাখের।

এ নিয়ে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি ক্যাচ ফেলছে তারা। এর পরও হাসিমুখেই মাঠ ছেড়েছে ক্যারিবীয়রা। কারণ ৩৫ বছর পর জয়ের সুবাস পাচ্ছে তারা! ২৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ৭৬ রান করেছে পাকিস্তান।

১৯৯০ সালের পর পাকিস্তানের মাটিতে প্রথম জয় থেকে আর ৬ উইকেট দূরে রয়েছে ক্যারিবীয়রা। পাকিস্তানের প্রয়োজন আরও ১৭৮ রান। প্রায় বধ্যভূমিতে পরিণত হওয়া মুলতানের স্পিন উইকেটে যা অসম্ভবই মনে হচ্ছে। পাকিস্তানের মাটিতে এখন পর্যন্ত মাত্র ৪টি টেস্ট জিতেছে উইন্ডিজ। যার সর্বশেষটি এসেছিল ১৯৯০ সালে ডেসমন্স হেইন্সের নেতৃত্বে।

ওই দলে ছিলেন গর্ডন গ্রিনিজ, ম্যালকম মার্শাল, কার্টলি অ্যামব্রোস, কোর্টনি ওয়ালশের মতো কিংবদন্তিরা। সোনালি সময়ের সেই উইন্ডিজ তো এখন আর নেই। কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে তারা দাপট দেখালেও টেস্টে ক্যারিবীয়রা এখন একেবারেই ব্যাকবেঞ্চার্স। সেই ধারভারহীন উইন্ডিজই ৩৫ বছর অধরা জয়ের স্বাদ পেতে যাচ্ছে।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম তিন ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। নিজের প্রথম বলেই অধিনায়ক শান মাসুদকে এলবিডব্লিউও করে দেন অফস্পিনার কেভিন সিনক্লেয়ার। পরের ওভারে বাঁহাতি স্পিনার গুদাকেশ মোতিকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবির ফাঁদে পড়েন অপর ওপেনার মোহাম্মদ হুরাইরা। পরের ওভারে কামরান গুলামের উইকেটও পেতে পারতেন মোতি। কিন্তু গালিতে জাস্টিন গ্রিভস ক্যাচ মিস করেন। ১৩ রানের সময় বাবর আজমের ফিরতি ক্যাচও নিতে পারেননি মোতি।

জীবন পেয়ে দুই ব্যাটারই প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কামরান এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলে ভাঙে ৪৩ রানের জুটি। এর পর শর্ট লেগে ক্যাচ দেন বাবর।

পাকিস্তানিরা স্পিন খেলতে ব্যর্থ হলেও উইন্ডিজ কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাট করেছে। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েটের নেতৃত্বে ওয়ানডে স্টাইলে শুরু করে তারা। এতে কাজও হয়। ব্রাথওয়েটের হাফ সেঞ্চুরিতে ১ উইকেটে ৯২ রান তুলে নিয়েছিল তারা। এর পর অবশ্য ছোটখাটো একটা ধস নামে। সপ্তম উইকেটে ইমলাখ ও সিনক্লেয়ার ৫১ রানের জুটি গড়ে আবার রুখে দাঁড়ান। এর পর মোতি, ওয়ারিকানরা দলের রান আড়াইশর কাছাকাছি নিয়ে যান। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর: উইন্ডিজ: ১৬৩ ও ২৪৪ (ব্রাথওয়েট ৫২, ইমলাখ ৩৫, জঙ্গু ৩০; সাজিদ ৪/৭৬, নুমান ৪/৮০)

পাকিস্তান: ১৫৪ ও ৭৬/৪ (বাবর ৩১, কামরান ১৯, শাকিল ১৩*; সিনক্লেয়ার ২/৪১)

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ক স ত ন ক র ক ট দল উইন ড জ উইক ট প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

এআই খাতের অনেক বিনিয়োগই ব্যর্থ হতে পারে, আশঙ্কা বিল গেটসের

মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের মতে, বিশ্ব বর্তমানে একটি এআই বুদ্‌বুদের মধ্যে রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিকে ১৯৯০ দশকের শেষ দিকের ডটকম বুদ্‌বুদ বা বুমের সঙ্গে তুলনা করে এআই খাতের অনেক বিনিয়োগই ব্যর্থ হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। মেসেজিং অ্যাপ থেকে শুরু করে ব্রাউজার বা কোডিং করার জন্য নানা ধরনের এআই টুল আছে। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মেই এখন কোনো না কোনো রূপে এআই ব্যবহার করা যাচ্ছে। আর তাই ওপেনএআই, পারপ্লেক্সিটি বা অ্যানথ্রোপিকের মতো এআই প্রতিষ্ঠানগুলোয় শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিল গেটস এই অবস্থাকে ডটকম বুদ্‌বুদের মতো একটি এআই বুদ্‌বুদ মনে করছেন।

বিল গেটস বলেন, ‘আমরা বর্তমানে একটি এআই বুদ্‌বুদে রয়েছি। এই পরিস্থিতি কোনো কাল্পনিক বিষয় নয়। এআই বুদ্‌বুদ ১৯৯০ দশকের শেষের দিকে ডটকম ধসের আগে প্রযুক্তিশিল্প যেমন অবস্থায় ছিল, তেমন। ১৯৯০ দশকের শেষের দিকে ডটকম বুমের ফলে বেশ কয়েকটি ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত মূল্যায়ন করা হয়। ফলে ২০০০ সালে ডটকমে ধস নেমে আসে। কিছু প্রতিষ্ঠান তখন সফল হয়েছিল, কিন্তু পুঁজি নষ্ট করা বহু প্রতিষ্ঠান ছিল।

বিল গেটসের আগে চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্যাম অল্টম্যানও এআই ভবিষ্যতে একটি বুদ্‌বুদ হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বিনিয়োগকারীরা এআই নিয়ে অতিরিক্ত উত্তেজিত হচ্ছেন বলেও মনে করেন তিনি। মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গও এ বছরের শুরুতে এআই বুদ্‌বুদ হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এআই খাতের অনেক বিনিয়োগই ব্যর্থ হতে পারে, আশঙ্কা বিল গেটসের