রামপুরায় ভবনে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: অভিযুক্ত এসআই গ্রেপ্তার
Published: 27th, January 2025 GMT
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত জুলাইয়ে রাজধানীর রামপুরায় একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের জানালায় ঝুলে থাকা এক তরুণকে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের এসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকার গ্রেপ্তার হয়েছেন। রোববার রাতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে তাকে ধরা হয়।
দীঘিনালা থানার ওসি জাকারিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তানভীর হাসান জোহার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে চঞ্চলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ঢাকা থেকে আসা পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট তাদের সঙ্গে ছিল। পুলিশ পাহারায় তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে রামপুরার মেরাদিয়ায় নির্মাণাধীন ভবনে ঝুলে থাকা তরুণকে লক্ষ্য করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গুলি করার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ধারণা করা হয়েছিল, যুবকটি আর বেঁচে নেই। তবে পরে জানা যায়, তিনি বেঁচে আছেন। তাঁর নাম আমির হোসেন। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর একজন শিক্ষার্থী তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। আমিরের দুই পায়ে মোট ছয়টি গুলি করেছিল পুলিশ। গুলিগুলো এক পাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। এখন তিনি পঙ্গু অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এসআই
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে (১৫) শ্বাসরোধে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকে বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জুনেল মিয়াকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তিনি।
গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে জুনেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান।
জুনেলের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে জুনেল মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু মেয়েটি সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হন জুনেল। ১২ জুন বিকেলে স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টার থেকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে জুনেল আবারও তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। একপর্যায়ে মুখ চেপে ধরে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পাশের ছড়ার ঝোপে লাশ ফেলে পালিয়ে যান।
নিখোঁজ হওয়ার পর ১২ জুন ছাত্রীর পরিবার কুলাউড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। দুই দিন পর ১৪ জুন বিকেলে বাড়ির পাশের ছড়ায় তার লাশ পাওয়া যায়। ওই রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন মেয়েটির মা। পরে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গতকাল রাতে জুনেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার জুনেলকে আজ মৌলভীবাজার আদালতে পাঠানো হবে। সেখানে ১৬৪ ধারায় তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।