যশোরে ইঞ্জিনিয়ার বায়েজিদ হাসান হত্যা মামলায় নগর বিএনপির সভাপতি ও ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে মুল্লুক চাঁনসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের এসআই শরীফ আল মামুন। অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, শহরের গাড়িখানা রোডের পাওয়ার হাউজ মোড়ের শাহ আলম, শাহ আব্দুল করিম রোডের আলী মন্টু, লোন অফিস পাড়ার জসিম উদ্দিন, মণিরামপুরের আগরহাটি গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও লউড়ি গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান খোকা।

হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় রকিবুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে সঞ্জয় চৌধুরী, রাজু আহম্মেদ, আব্দুর রহমান রাজন ও জসিম মোল্যার অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। চার্জশিটে অভিযুক্ত সকল আসমিকে আটক দেখানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

খুবির অর্ণবের মা, ‘বুকে ফিরে আয় আমার বাবা’

তিন সাঁওতাল হত্যা: সাবেক এমপিসহ আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে সমাবেশ

নগর বিএনপির সভাপতি মুল্লুক চাঁনকে অভিযুক্ত করায় জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, মুল্লুক চাঁনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফ আল মামুন জানান, অভিযুক্ত ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় সঞ্জয় চৌধুরীসহ চারজনের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।

বিএনপি নেতাকর্মীরা দাবি করছেন, এ মামলায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চালানো হচ্ছে এবং মুল্লুক চাঁনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা আশা করছেন, সত্য উদঘাটন হবে এবং মুল্লুক চাঁন নিরপরাধ প্রমাণিত হবেন।

মামলার অভিযোগ করা হয়েছে, বায়েজিদ হাসান খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার হাজী ইসমাইল লিংক রোডের আল আমিন মহল্লার মৃত শিকদার নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি মুল্লুক চাঁদ ও সঞ্জয় চৌধুরীর ঢাকার অফিসে কাজ করতেন। ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ বায়েজিদ ও তার স্ত্রী ঢাকা থেকে খুলনার বাড়িতে আসেন। ২৪ মার্চ দুপুরে মুল্লুক চাঁদের কর্মচারি শহিদুল ইসলাম, রাজু ও রাজনসহ অপরিচিত কয়েকজন বায়েজিদের বাড়িতে যান এবং পাওনা ৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই টাকার জন্য তাকে খুলনা থেকে যশোর নিয়ে আসেন তারা। এরপর টাকা আদায়ের জন্য বায়েজিদকে মারপিট করা হয়। অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসা না দিয়ে ঘরে ফেলে রাখা হয়। পরে বায়েজিদ মারা যায়।

এ ঘটনায় নিহতের মা দিলরুবা বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।  
 

ঢাকা/রিটন/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ত কর ম ল ইসল ম ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে (১৫) শ্বাসরোধে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকে বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জুনেল মিয়াকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তিনি।

গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে জুনেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান।

জুনেলের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে জুনেল মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু মেয়েটি সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হন জুনেল। ১২ জুন বিকেলে স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টার থেকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে জুনেল আবারও তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। একপর্যায়ে মুখ চেপে ধরে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পাশের ছড়ার ঝোপে লাশ ফেলে পালিয়ে যান।

নিখোঁজ হওয়ার পর ১২ জুন ছাত্রীর পরিবার কুলাউড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। দুই দিন পর ১৪ জুন বিকেলে বাড়ির পাশের ছড়ায় তার লাশ পাওয়া যায়। ওই রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন মেয়েটির মা। পরে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গতকাল রাতে জুনেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার জুনেলকে আজ মৌলভীবাজার আদালতে পাঠানো হবে। সেখানে ১৬৪ ধারায় তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার
  • গোপালগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ৩ বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ২
  • গোপালগঞ্জে ৬ যানবাহনের সংঘর্ষ, পুলিশ সদস্যসহ নিহত ২
  • রেললাইনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন মুঠোফোনে, ট্রেনে কাটা পড়ে চা–শ্রমিকের মৃত্যু