শবনমের সান্নিধ্য পেয়ে উচ্ছ্বসিত পূর্ণিমা
Published: 28th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম। ছয় দশকের বর্ণাঢ্য চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় করলেও দীর্ঘ সময় পাকিস্তানি সিনেমায় কাজ করেছেন।
পাকিস্তানি সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য সেখানে ‘মহানায়িকা’ বলা হয় শবনমকে। তার সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়া অনেক তারকার কাছে স্বপ্নের মতো। তেমনই এই কিংবদন্তির সঙ্গে অভিনয়ের স্বপ্ন আছে চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার।
আরো পড়ুন:
অভিবাসীদের নিয়ে ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান: কাঁদলেন সেলেনা
সাইফের ওপরে হামলা: চর্চিত অমীমাংসিত পাঁচ প্রশ্ন
গত রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোনে শবনমের সঙ্গে দেখা করতে যান পূর্ণিমা। সেখানে এই কিংবদন্তির সঙ্গে গল্পে মেতে ওঠেন। তা জানিয়ে পূর্ণিমা বলেন, “বলা যায় এটা আমার একটা অপূর্ণতা যে, আমি শবনম ম্যাডামের সঙ্গে একই সিনেমায় অভিনয় করতে পারিনি। তবে এটা ভীষণ ভালোলাগার যে, তিনি আমাকে খুব স্নেহ করেন, আদর করেন। তিনি আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেন, তার মতো এত বড় মাপের যাকে আমরা মহিরুহ বলি; সেই তিনি যখন আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেন তখন আসলে কী বলব বুঝে উঠতে পারি না। আমি তো মনে করি আমার অভিনয় তার ভালোলাগার বিষয়টা এক জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি। দোয়া করি, ম্যাডাম সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।”
কাজী হায়াত পরিচালিত ‘আম্মাজান’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন শবনম। ১৯৯৯ সালের ২৫ জুন মুক্তি পায় এটি। শবনম অভিনীত এটি সর্বশেষ সিনেমা। এরপর আর অভিনয়ে দেখা যায়নি তাকে। তবে ভালো গল্প পেলে কাজের ইচ্ছা আছে বলে জানিয়েছেন এই কিংবদন্তি।
অন্যদিকে, অভিনয় থেকে অনেকটাই দূরে আছেন পূর্ণিমাও। এ নায়িকাকে সর্বশেষ দেখা গেছে ছটকু আহমেদের ‘আহারে জীবন’ সিনেমায়। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।
জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।