ইজতেমার মাঠ প্রস্তুত, মুসল্লিরা আসবেন আজ থেকে
Published: 29th, January 2025 GMT
টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ পুরোপুরি প্রস্তুত। ৩১ জানুয়ারি শুরু হবে মাওলানা জুবায়ের আহমেদের অনুসারীদের ইজতেমা। মঙ্গলবার বিকাল থেকেই প্রথম ধাপে ইজতেমায় অংশগ্রহণের জন্য বিভিন্ন খিত্তা ও পয়েন্টের জিম্মাদার আসতে শুরু করেছেন। আজ বুধবার সকাল থেকে দেশি-বিদেশি মেহমানসহ মুসল্লিরা আসতে শুরু করবেন বলে জানায় তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের ইজতেমা আয়োজক কমিটি। তাদের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এবারের ইজতেমা শুরায়ি নেজামের অধীনে দুই ধাপে হবে। প্রথম ধাপ ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় ধাপ ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে জেলাগুলোকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে এবং কে কোন ধাপে অংশগ্রহণ করবে, তা ইতোমধ্যে জেলাওয়ালাদের জানানো হয়েছে। প্রথম ধাপে ঢাকার একাংশসহ মোট ৪১টি জেলার মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন। দ্বিতীয় ধাপে ঢাকার একাংশসহ ২২টি জেলার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন।
অন্যদিকে মাওলানা সাদ কান্ধলভি অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম জানান, তাদের ইজতেমা ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা হবে। তিনি আরও জানান, টঙ্গীতে তাবলিগ জামাতের উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আহত মিজানুর রহমান মারা গেছেন। তাঁর বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। গত ১৮ ডিসেম্বর ভোরে সাদপন্থিদের পাঁচ দিনের জোড়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এ নিয়ে সাদপন্থি চারজন মারা গেছেন। টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো.                
      
				
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার
প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা।
কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।
মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ।
এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা।
কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে।
কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক