এশিয়াজুড়ে বুধবার লাখ লাখ মানুষ তাদের পরিবারের সাথে চন্দ্র নববর্ষ উদযাপন করছে। এবার তারা ড্রাগনের বছরকে বিদায় জানিয়ে সাপের বছর শুরু করেছে।

২০২৫ সালের বসন্ত উৎসবের জন্য চীনারা টানা আটটি সরকারি ছুটি উপভোগ করছে। এই ছুটিতে খাবার ভাগাভাগি করার, ঐতিহ্যবাহী পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করার এবং আতশবাজি ও আতশবাজি পোড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে তারা।

দেশজুড়ে ট্রেন স্টেশন এবং বিমানবন্দরগুলোতে কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। কারণ লাখ লাখ মানুষ তাদের প্রিয়জনদের সাথে ছুটি কাটাতে বাড়ি ফিরেছে, বার্ষিক অভিবাসনে, যা একটি রেকর্ড হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ড সহ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক অংশে, উঁচু রাস্তা, শপিং মল, অফিস এবং বাড়িগুলো উৎসবের লাল ব্যানারে সজ্জিত রয়েছে। এই রঙ মন্দকে দূরে রাখে বলে বিশ্বাস করে চীনারা।

স্থানীয় সময় বুধবার সকালে তাইওয়ানে সব বয়সের মানুষ মন্দিরগুলোতে ফল, মিষ্টি, পটকা এবং বাদাম উৎসর্গ করতে এবং মধ্যস্থতা ও প্রার্থনা করতে ভিড় জমিয়েছিলেন।

৩৬ বছর বয়সী চেন চিং-ইউয়ান তার মায়ের সাথে তাইপেইয়ের লংশান মন্দির পরিদর্শন করার সময় বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “আমাদের ঐতিহ্য হল মন্দির পরিদর্শন করা এবং এই বছরের জন্য আরো ভালো ভাগ্যের জন্য প্রার্থনা করা। নির্দিষ্ট কিছু চাওয়ার দরকার নেই, শুধু একটি মসৃণ, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর বছর কামনা করুন এবং প্রার্থনা করুন যে সবকিছু ঠিকঠাকভাবে কাটে।”

৭৩ বছর বয়সী লিন ইউ-সুন বলেন, তার পরিবারের সাথে লংশান মন্দির পরিদর্শন ‘প্রার্থনার সময় আমাদের আধ্যাত্মিক প্রশান্তি দেয়।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র পর মন দ র র বছর

এছাড়াও পড়ুন:

‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

রাজধানীর বাংলা মোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শিশুসাহিত্যিক অমিত কুমার কুণ্ডুর শিশুতোষ ছড়ার বই ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিল বইটির প্রকাশনা সংস্থা পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড।

শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দন্ত্যস রওশন, লোকসংস্কৃতিবিদ তপন বাগচী, শিশুসাহিত্যিক সঙ্গীতা ইমাম, কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার। অনুষ্ঠানে বক্তারা বইটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

আরো পড়ুন:

নদী স্মৃতিনির্ভর সংকলন গ্রন্থ ‘আমার নদী’ প্রকাশিত 

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

প্রধান অতিথির আলোচনায় রফিকুর রশীদ বলেন, “১২৪টি ফলের ওপর লেখা এই বইয়ের ছড়াগুলো কেবল পাঠকের রসাস্বাদনই করাবে না, শিশু শিক্ষামূলক এই ছড়াগুলো রসোত্তীর্ণও বটে।”

তিনি দেশের প্রকাশকদের অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়ে বলেন,“প্রকাশকদের বেশি বেশি এরকম প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করা উচিত।”

বইটির ব্যতিক্রমী আকৃতির দিকে ইঙ্গিত করে দন্ত্যস রওশন বলেন, “পাঠক তৈরির প্রয়াসেই পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এমন ক্ষুদ্রাকৃতির ও নতুন নতুন সাইজের বইয়ের ধারণা বাজারে আনছে। এটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।”

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, “শিক্ষার দুটো দিক রয়েছ।একটি হলো ট্রাডিশনাল, যা আমরা পড়েছি, আপনারাও পড়েন। আরেকটি  হলো জাঁ জ্যাক রুশোর পদ্ধতি। তিনি বলেছে, প্রকৃতির সঙ্গে শেখা।রবীন্দ্রনাথ যা বিশ্বভারতীর মাধ্যমে করিয়ে দেখিয়েছেন।অমিত কুমার কুণ্ডুর ছড়ার বইটি সে রকমই।এর মাধ্যমে প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করবে শিশুরা ও ওরা শিখবে। এরকম বই প্রকাশ করার জন্য প্রকাশকে ধন্যবাদ। আমাদের প্রকাশকদের এ ধরনের বই বেশি বেশি করতে হবে।”

কাঁচামিঠে ফলের ছড়া বইটির পাতায় পাতায় দেশি-বিদেশি বিচিত্র ফলের পরিচয়, পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা নান্দনিক অলংকরণে ছন্দে-ছড়ায় তুলে ধরা হয়েছে। বইটি থেকে ছড়া আবৃত্তি করে বাচিক শিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা।

অনুষ্ঠান শেষে ছিল মৌসুমী ফল দিয়ে অতিথিদের অ্যাপায়নের ব্যবস্থা।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মোশাররফ করিমের ২৪ মিনিটের সিনেমা যুক্তরাষ্ট্রের উৎসবে
  • ১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’
  • চুয়েটে দিনভর তারুণ্যের ‘তর্ক-যুদ্ধ’
  • ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
  • জুলাইয়ের ১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় উৎসব
  • ১৬ কোটি টাকায় সারা দেশে ফুটবলের তিন টুর্নামেন্ট
  • দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
  • ভৌতিক গল্প নিয়ে কানাডায় নুহাশ