নারায়ণগঞ্জে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী আখ্যা দিয়ে পাঁচজন যুবককে আটকে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। তাদের মধ্যে আড়াইহাজারের সাবেক এমপি পলাতক নজরুল ইসলাম বাবুর খালাতো ভাই মো: বাকের রয়েছেন। তিনি আড়াইহাজার উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম অহবায়ক।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে আটকদের প্রাথমিক তদন্তে চারজনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ বা এর সহযোগী সংগঠনের কোনও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে জানান সদর মডেল থানার ওসি নাছিরউদ্দিন আহমদ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহীদ মিনারে কয়েকজন যুবককে আটক করেন স্থানীয় কয়েকজন। ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাদের জেরা করা হয়। এক পর্যায়ে তাদের মোবাইল ফোনও দেখা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।

পরে ওই পাঁচজনকে পুলিশ ভ্যানে করে সদর মডেল থানায় নেওয়া হয় বলে জানান ওসি নাছির।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিতে পারে বিবেচনা করে তাদের হেফাজতে নিয়ে থানায় আসি। প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাছাই করে জানা গেছে, তাদের মধ্যে চারজন আওয়ামী লীগ বা দলটির কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নন। তারা একভাবে শহীদ মিনারে গিয়েছিলেন। সন্দেহের বশে তাদের আটক করা হয়।

ওসি নাছির বলেন, তাদের মধ্যে একজনের সঙ্গে যুবলীগের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তিনি যুবলীগের একটি শাখা কমিটির পদেও আছেন। তার বিষয়ে আরও যাচাই-বাছাই চলছে।


 তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই চারজনের বাইরে অপরজনের নাম বাকের ভুইয়া। সে ৫ আগস্টের পর আড়াইহাজার ছেড়ে ফতুল্লার ভুইঘড় রূপায়ণ টাউনে তার নিজস্ব ফ্ল্যাটে আত্মগোপনে ছিল। সন্ধ্যায় তার পূর্ব পরিচিতদের (আটক ৪জন) নিয়ে শহীদ মিনারে চা খেতে আসে। বাকের ভুইয়া সবশেষ ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর সকালে দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের চতুর্থ দফায় ৪৮ ঘন্টার ডাকা অবরোধ, অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে আড়াইহাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাচরুখী এলাকায় শান্তি সমাবেশ ও মিছিল বের করে। ওই মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন আড়াইহাজার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আহমেদুল কবির উজ্জ্বল ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বাকের ভুঁইয়া। 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: য বল গ য বল গ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ