হবিগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলায় ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
Published: 30th, January 2025 GMT
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার শ্রীকুটা এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জেলার চুনারুঘাট উপজেলার মধ্য নরপতি গ্রামের মো. আক্কাস মিয়া (২৮) ও উত্তর নরপতি গ্রামের জুনাইদ আহম্মদ (২৪)।
বুধবার রাতে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো.
এ ঘটনায় থানার এসআই মো. আল মামুন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ মামলার বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, উপজেলার শ্রীকুটা এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন বৈদ্যুতিক তারের লাইন রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য গাছ কাটা নিয়ে স্থানীয় লোকজনদের সাথে বিদ্যুৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
এ সংবাদ পেয়ে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে আসামিরা পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় এসআই মো. আল মামুনসহ অন্যান্যরা আহত হন। পরে হামলায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা/মামুন/ইমন
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে (১৫) শ্বাসরোধে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকে বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জুনেল মিয়াকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তিনি।
গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে জুনেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান।
জুনেলের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে জুনেল মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু মেয়েটি সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হন জুনেল। ১২ জুন বিকেলে স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টার থেকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে জুনেল আবারও তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। একপর্যায়ে মুখ চেপে ধরে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পাশের ছড়ার ঝোপে লাশ ফেলে পালিয়ে যান।
নিখোঁজ হওয়ার পর ১২ জুন ছাত্রীর পরিবার কুলাউড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। দুই দিন পর ১৪ জুন বিকেলে বাড়ির পাশের ছড়ায় তার লাশ পাওয়া যায়। ওই রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন মেয়েটির মা। পরে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গতকাল রাতে জুনেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার জুনেলকে আজ মৌলভীবাজার আদালতে পাঠানো হবে। সেখানে ১৬৪ ধারায় তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।