জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচিতে যাচ্ছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
Published: 1st, February 2025 GMT
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও দ্রুত সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচন এবং বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কর্মসূচি ঘোষণার বিষয়ে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে বিএনপি। তবে এখনও কোনো কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়নি। অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে শিগগির এ কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোট ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে দলটি। বৈঠকে বিএনপির পক্ষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, বৈঠকে জনসম্পৃক্ত ইস্যুতে সমাবেশ, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। কী কী করলে দেশ ও জনগণের জন্য ভালো হবে, সে বিষয়ে পরামর্শও দেওয়া হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। অনেক বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা যুগপৎ আন্দোলন করেছিলাম। সেই আন্দোলন সবসময় সরকারবিরোধী হবে– এমন কথা নেই। যে কোনো আকাঙ্খা পূরণের জন্য আমরা যুগপৎ আন্দোলন একসঙ্গে করতে পারি।
তিনি বলেন, একটি নির্বাচনের জন্য যা কিছু সংস্কার প্রয়োজন, সেগুলা করেই নির্বাচন হবে। তবে সেসব সংস্কার করে নির্বাচন করতে বেশি সময় লাগার কথা নয়।
১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জোটপ্রধান জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহ্সানুল হুদা, বিকল্পধারার চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ। আরেক বৈঠকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সিনিয়র সহসভাপতি উবায়দুল্লাহ ফারুক, সহসভাপতি আব্দুর রব ইউসুফী, আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার, জুনায়েদ আল-হাবীব, আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বাহাউদ্দীন জাকারিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ র ল ইসল ম ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
খামেনিকে হত্যায় ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দেন ট্রাম্প
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এমন সময় এ খবর সামনে এসেছে, যখন ইরানে চালানো হামলার প্রথম দিনই দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।
মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না। যতক্ষণ না তারা তা করছে, ততক্ষণ আমরা রাজনৈতিক নেতৃত্বের পেছনে লাগার বিষয়ে, এমনকি আলাপও করছি না।’
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার ফক্স নিউজকে বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’
ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’
নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।