কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগে মামলা
Published: 1st, February 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইন বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ সবুজকে অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন শাকিল।
মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন—কুমিল্লার সাতরা চম্পকনগর এলাকার আমির হোসেন বাবুর্চির ছেলে মাসুম (২০), বিষ্ণুপুর এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে জিহাদ (১৯), ঝাউতলার আক্তার মোল্লার ছেলে সাইফুল (২০), নিধু মিয়ার ছেলে শাওন (২০) এবং একই এলাকার শাহিন (২০)। তাদের মধ্যে মাসুমকে (২০) গত রাতে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, শাকিল আহমেদ সবুজ ৩০ জানুয়ারি রাত ১০টা ১০ মিনিটের দিকে টিউশন শেষ করে মেসে ফেরার উদ্দেশ্যে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। দৌলতপুর চৌমুহনী থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন তিনি। অপহরণকারীরা ওই অটোরিকশার পিছনের সিটে অবস্থান করছিল। দৌলতপুর এলাকায় আসার পর ভুল রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি থেকে লাফ দেন সবুজ। এরপর ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য আরেকটি অটোরিকশা নিলে সেখানেও অপহরণকারীরা তার পিছু নেয়। একপর্যায়ে তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অপহরণ করে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘোরানো হয়। সবুজের পরিবারের কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় তোয়া হাউজিং এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে সবুজকে উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেছেন, “মামলার তদন্ত চলছে। এক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
ঢাকা/এমদাদুল/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।
উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।
পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।