তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে চবিতে মানববন্ধন
Published: 19th, October 2025 GMT
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) মানববন্ধন ও মশাল মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ মিনারে ‘চবি রংপুর ডিভিশন স্টুডেন্টস ইউনিটি’ ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পরে মশাল মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার থেকে জিরো পয়েন্টে গিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।
আরো পড়ুন:
সাভারে বিউপি শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
শিক্ষকদের ওপর হামলা হলে দায় সরকারের: আজিজী
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘ভারত যদি বন্ধু হও, তিস্তার ন্যায্য হিস্যা দাও’, ‘তিস্তা পাড়ের কান্না, আর না আর না’, ‘উত্তরের এই বৈষম্য, মানি না মানবো না’, ‘হিসাব মতো তিস্তার পানি, বুঝে দাও বুঝে দাও’, জাগো বাহে কোনঠে সবাই, আইসো মিলে তিস্তা বাঁচাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
কর্মসূচিতে দর্শন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও চবির রংপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, “বর্ষাকালে বন্যার পানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের চোখের পানি বাড়তে থাকে, আমরা হাহাকার করে উঠি। যে তিস্তার জলে আমাদের উত্তরবঙ্গের মানুষের জীবন চলার কথা ছিল, সেই তিস্তার জলে ভেসে যায় আমাদের সকলের স্বপ্ন।”
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও চবির গাইবান্ধা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি মুক্তাদির রহমান মুনিম বলেন, “তিস্তার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে শুধু উত্তরবঙ্গের মানুষ উপকৃত হবে এমনটা নয়, বরং এর মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশ একটি কৃষি বিপ্লব করা সম্ভব হবে। ফলে পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে, উপকৃত হবে বাংলাদেশের মানুষ। সরকারের কাছে দাবি, খুব দ্রুতই তিস্তার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হোক।”
চাকসুর নবনির্বাচিত জিএস সাঈদ বিন হাবিব বলেন, “তিস্তা নিয়ে যে মহাপরিকল্পনা করা হয়েছিল, দীর্ঘ বছরও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। সরকারের কাছে জোরালো দাবি, তিস্তার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের রোডম্যাপ অতিদ্রুত প্রকাশ করতে হবে।”
তিনি বলেন, “১৯৭১ থেকে এই পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে যত চুক্তি করা হয়েছে, সেগুলো দেশের মানুষের সামনে প্রকাশ করতে হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী সকল চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৫ দফা দাবি
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
১০ ডিসেম্বর (আজ বুধবার) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এ উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে মানবাধিকার সংগঠনটি। এ সময় জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগঠনটি ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
কর্মসূচিতে অংশ নেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাঁদের পরিবার এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘স্পিক আপ’ প্রকল্পের তরুণেরা। এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের এ দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয়, মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের বাইরে গিয়েও প্রতিদিনই মানবাধিকার বিষয়ে জাগ্রত ও সোচ্চার থাকতে চাই। আইন ও সালিশ কেন্দ্র কখনো মানবাধিকার বিষয়ে কারও কাছে মাথা নত করেনি, কারও সঙ্গে আপস করেনি। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, সেখানেই আইন ও সালিশ কেন্দ্র সব সময় সোচ্চারভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছে।’
নারী অধিকারের বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সংস্থার এই উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘আইনের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে কিন্তু নারী ও শিশুর প্রত্যয়ী সহিংসতাগুলো বন্ধ হয়নি। এটি নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আজ বুধবার, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে