অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন ও অভিনেত্রী আনিকা কবির শখ বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়ে রাতারাতি তারকা বনে যান তারা। এরপর বেশ কিছু বিজ্ঞাপন-নাটকে জুটি হন দুজন। সবশেষ ২০১৯ সালে একসঙ্গে দেখা যায় তাদের। এরপর আর জুটি বাঁধতে দেখা যায়নি। পাঁচ বছর পর আবারও দুজন কাজ করলেন একসঙ্গে।
ছোঁয়া ফ্রোজেন ফিসের বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন তারা। সায়মন তারিকের এ বিজ্ঞাপনে ইমনের বাবা-মায়ের ভূমিকায় মডেল হয়েছেন আবুল হায়াত ও দিলারা জামান। ইমনের স্ত্রীর ভূমিকায় আছেন শখ। বিজ্ঞাপনটিতে কাজ করা প্রসঙ্গে ইমন বলেন, “সায়মন ভাইয়ের নির্দেশনায় এ বিজ্ঞাপনে কাজ করে খুব ভালো লেগেছে। কাজটি সত্যিই ভালো হয়েছে। সত্যি বলতে কি, সিনিয়র শিল্পীদের কাছ থেকে আমাদের এখনো অনেক কিছু শেখার আছে। তারা এ বয়সেও যে ডেডিকেটেড, তাতে মুগ্ধ হই। ধন্যবাদ সায়মন তারিক ভাইকে একটি চমৎকার পারিবারিক গল্পের বিজ্ঞাপন নির্মাণ করার জন্য।”
এ নিয়ে শখ বলেন, “কিছুদিন আগেও আমি শ্রদ্ধেয় হায়াত আঙ্কেল, দিলারা আন্টির সঙ্গে একটি হেলথ কেয়ারের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছি। সায়মন তারিক ভাইয়ের নির্দেশনায় নতুন আরও একটি কাজ করা হলো তাদের সঙ্গে। বেশ গোছানো, পরিপাটি একটি ইউনিটের সঙ্গে ভীষণ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করলাম। খুব আশাবাদী নতুন এ কাজটি নিয়ে।”
আরো পড়ুন:
কেমন আছেন সাবিনা ইয়াসমীন
ইসলাম ধর্মের রীতি মেনে বিয়ে করবেন রাখি
নির্মাতা সায়মন তারিক জানান, শিগগিরই বিজ্ঞাপনটি প্রচারে আসবে।
চিত্র গ্রাহক হিসেবে ছিলেন ইবাদ আলিম ও মাসুদ পারভেজ সবুজ। যাযাবর সজীব এর গল্প অবলম্বনে বিজ্ঞাপনের আরেকটি পার্টে অংশগ্রহণ করে শিল্পী হিসাবে আর জে নিরব, অভিনেত্রী লাবণ্য লিজা, হারুন রশিদ বান্টি, জাহানারা আহমেদ ও ডলি। এর জিঙ্গেল লিখেন সুদীপ কুমার দীপ। সংগীত পরিচালক অপু আনাম ড্রেস ডিজাইনার ও কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা।
ঢাকা/রাহাত/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স য়মন ত র ক ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের অর্থনীতি মৃত, ট্রাম্প ঠিকই বলেছেন: রাহুল
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঠিক কথাই বলেছেন, ভারতের অর্থনীতি মৃত।
আজ বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে রাহুল এই মন্তব্য করার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সেও একই কথা লেখেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই ভারতের অর্থনীতিকে মেরে ফেলেছেন।
গতকাল বুধবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে ট্রাম্প লেখেন, ‘ভারত ও রাশিয়া—দুই দেশের অর্থনীতিই মৃত। দুই দেশের মধ্যে কী বোঝাপড়া হয়েছে, তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। তারা একই সঙ্গে মৃত অর্থনীতি নিয়ে রসাতলে যেতে পারে। ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য খুবই কম। ওদের শুল্কহার প্রচণ্ড চড়া। পৃথিবীর সর্বোচ্চ। রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য হয় না বললেই চলে। অতএব, ও নিয়ে না ভাবলেও চলবে।’
আজ সংসদ ভবন চত্বরে গণমাধ্যম রাহুলকে ট্রাম্পের ওই মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ভারতের অর্থনীতি যে মৃত, তা সবাই জানেন। আপনারা জানেন না? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ছাড়া এই সত্য সবার জানা। আমি খুশি যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সত্যি কথাটা বলেছেন। গোটা পৃথিবী জানে ভারতের অর্থনীতি মৃত। আদানিকে সাহায্য করতে গিয়ে দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে বিজেপি।’
এরপর রাহুল একই কথা ‘এক্স’ মারফতও জানান। সেখানে তিনি লেখেন, ‘ভারতের অর্থনীতি মৃত। মোদি মেরে ফেলেছেন।’ এরপর পাঁচটি কারণ দেখিয়ে রাহুল ব্যাখ্যা করেন, কেন ও কী কারণে ভারতের অর্থনীতির পঞ্চত্বপ্রাপ্তি ঘটেছে—১. আদানি-মোদি অংশীদারত্ব; ২. নোট বাতিল ও ত্রুটিযুক্ত জিএসটি; ৩. ভারতে যন্ত্রাংশ জোড়া লাগানো বা ‘অ্যাসেম্বল ইন ইন্ডিয়া’ নীতি; ৪. মধ্যম ও ক্ষুদ্র শিল্প ধ্বংস করে দেওয়া এবং ৫. কৃষকদের নাভিশ্বাস তুলে দেওয়া।
এই পাঁচ কারণ দেখানোর পর রাহুল লেখেন, ‘দেশের যুব সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ মোদি তছনছ করে দিয়েছেন। কারণ, কোথাও কোনো চাকরি নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কনীতি নিয়ে রাহুল বলেন, ‘দেখে নেবেন, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তি হবে। ট্রাম্পই সেই চুক্তির সংজ্ঞা ঠিক করবেন, মোদি স্রেফ তাঁর নির্দেশ মেনে নেবেন।’
রাহুল আরও বলেন, ‘মোদি স্রেফ এক ব্যক্তি বিশেষের জন্য কাজ করেন। শিল্পপতি গৌতম আদানি। দেশের অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও পররাষ্ট্রনীতি তিনি ধ্বংস করে দিয়েছেন।’