এ বছরেই ঢাকার ১৯ খাল দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
Published: 2nd, February 2025 GMT
রাজধানীর খালগুলোতে মাছ ও চাষাবাদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ বছরের মধ্যেই ১৯টি খাল দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকার খালগুলোতে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে। খালগুলো হবে প্রাণকেন্দ্র। খালের আশেপাশের বাসা বাড়ির বর্জ্যগুলো পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। একটা বিহীত করতে হবে যাতে খালে কেউ ময়লা ফেলতে না পারে। এজন্য স্থানীয়দের দিয়ে আমরা একটা কমিটি করে দেব। দুই কিলোমিটার পর পর একটা কমিটি থাকবে, তারা এটি মনিটর করবে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। এর আগে আজ সকালে মিরপুর-১৩ নম্বর সেকশনের ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির আওতায় ছয়টি খাল সংস্কার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আশা করি, আমরা এই বর্ষার আগে আপাতত ছয়টা খাল দখল ও দূষণমুক্ত করতে সক্ষম হব। খুব শিগগির আমরা আরও চারটা খাল দখল ও দূষণমুক্ত করার কাজ শুরু করব। এই বর্ষার আগে বাকি আরও ৯টির কাজ শুরু হবে। অর্থাৎ এ বছরের মধ্যেই ১৯টি খালের দখল ও দূষণমুক্তকরণের কাজ সম্পন্ন করা হবে। তিনি বলেন, আমাদের এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আমরা হয়তো এই ১৯টি খালকেন্দ্রিক মাস্টার প্ল্যান করে ফেলবো। কোথায় কোথায় আমাদের আরও কাজ করতে হবে সেটা ঠিক করে আগামী বাজেটকে সামনে রেখে খালগুলো সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারের জন্য অর্থের সংস্থান করতে পারব বলে আশা করি।’
তিনি বলেন, আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে, খালের যে পাড়টা আছে ওই পাড়ে আমরা চাষাবাদ করতে পারি কিনা। আমরা চাচ্ছি খালের পাড়গুলোতে সবুজ ফিরিয়ে আনতে পারি কিনা, আর খালের মধ্যে মাছ আনা যায় কিনা। সেটা আমরা কেমন করে ফিরিয়ে আনবো, কেমন করে খালের প্রাণ ফিরিয়ে দেব সেই চেষ্টাটা আমরা করবো। এটা আমাদের মন্ত্রণালয়কেন্দ্রিক উদ্যোগ হলেও নগরবাসীকে এ কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে।
স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, নগরবাসীকে তার খালগুলোকে রক্ষার দাবি তুলতে হবে এবং সেখানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। আপনাদের দায়িত্ব নিতে হবে, অধিকারের জায়গা থেকে অধিকারের চর্চাও করতে হবে, দায়িত্বের জায়গা থেকে দায়িত্বও পালন করতে হবে আপনাদের। আমরা যখন খাল পুনরুদ্ধার করতে যাব, খালের কিছু কিছু অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে হবে, আমরা জানি তখন হয়তো কিছু বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। আমরা সম্মিলিতভাবে সে বাধা মোকাবিলা করবো। খালে যেন পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে পারি এটা আমাদের প্রাথমিক টার্গেট।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ সচিব নাজমুল আহসান,পরিবেশ সচিব ড.
উল্লেখ্য, আজ দখল ও দূষণমুক্ত কার্যক্রমের জন্য উদ্বোধন হওয়া ছয়টি খাল হচ্ছে বাউনিয়া খাল, রুপনগর খাল, বেগুনবাড়ি খাল, মান্ডা খাল, কালুনগর খাল, কড়াইল লেক। এ ৬টি খালের মোট দৈর্ঘ্য ২৩.৬৬ কিলোমিটার।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জওয় ন পর ব শ উপদ ষ ট খ ল পর স ক র উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।