৯ জেলায় নতুন, তিনটিতে বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি
Published: 3rd, February 2025 GMT
দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে ৯ জেলায় নতুন ও তিন জেলায় পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে মেহেরপুর, কুড়িগ্রাম ও মাগুরায়। আর নাটোর, বান্দরবান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নোয়াখালী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলায় নতুন আংশিক কমিটি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাভেদ মাসুদ মিল্টনকে আহ্বায়ক ও অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানকে সদস্য সচিব করে মেহেরপুর বিএনপির ৩১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি, আলী আহমেদকে আহ্বায়ক ও মনোয়ার হোসেন খানকে সদস্য সচিব করে মাগুরায় ৩৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফাকে আহ্বায়ক ও সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদকে সদস্য সচিব করে কুড়িগ্রামে ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়েছে।
এদিকে রহিম নেওয়াজকে আহ্বায়ক ও আসাদুজ্জামান আসাদকে সদস্য সচিব করে নাটোর জেলা শাখার ১৬ সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি, স্বাচিন প্রু জেরীকে আহ্বায়ক ও জাবেদ রেজাকে সদস্য সচিব করে বান্দরবান জেলা শাখার পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি, ইদ্রিস মিয়াকে আহ্বায়ক ও লায়ন হেলাল উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আফরোজা খান রিতাকে আহ্বায়ক করে মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাত সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি, মিজানুর রহমান সিনহাকে আহ্বায়ক ও মহিউদ্দিন আহমেদকে সদস্য সচিব করে মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সাত সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি, মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার পাঁচ সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি এবং ফজলুল হক মিলনকে আহ্বায়ক করে গাজীপুর জেলা শাখার তিন সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি, মাহবুব আলমগীর আলোকে আহ্বায়ক ও হারুনুর রশিদ আজাদকে সদস্য সচিব করে নোয়াখালী জেলার পাঁচ সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি এবং জাকারিয়া তাহের সুমনকে আহ্বায়ক ও আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমকে সদস্য সচিব করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার পাঁচ সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি
আমিরুল ইসলাম খান আলীমকে আহ্বায়ক করে ১৮ সদস্যবিশিষ্ট সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এই কমিটি শিগগির সম্মেলন করে নতুন কমিটি গঠন করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ র প র ণ ঙ গ কম ট চ সদস য র আ শ ক ব এনপ র ক কম ট গঠন ক
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।