জাপানি লাইফস্টাইল থেকে অনুপ্রাণিত তৈরি পোশাকের ব্র্যান্ড ‘মাইক্লো’। গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে মানসম্মত ও পছন্দের পোশাক দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ‘মাইক্লো বাংলাদেশ’। দ্রুত বর্ধনশীল ব্র্যান্ডটি মাত্র এক বছরে ১২টি শোরুম চালু করে নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে।

তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে মাইক্লো বাংলাদেশের ১৩তম শোরুম উদ্বোধন করেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান ও অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়া।

এ প্রসঙ্গে তাহসান খান বলেন, ‘মাইক্লো বাংলাদেশে এতো সুন্দর মানসম্মত তৈরি পোশাক নিয়ে আসছে তা দেখে আমার অবাক লাগছে। লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড মাইক্লো তাদের স্টাইল এবং মানের প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রমাণ রেখে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও তাদের সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী নাদিয়া বলেন, ‘মাইক্লো বাংলাদেশের পোশাকের গুণগত মান খুবই ভালো। এ কারণেই অল্প সময়েই সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড মাইক্লোর এই নতুন যাত্রায় অংশ হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’

মাইক্লো বাংলাদেশের অপারেশন উপদেষ্টা কাজী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মাইক্লো বাংলাদেশ মানসম্মত, টেকসই ও সাশ্রয়ী মূল্যের পছন্দের পোশাক দেওয়ার লক্ষ্যে শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ১৩তম শোরুম চালু করে মাইক্লো আরও একটা নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলো। আমরা বাংলাদেশের জনগণকে আরামদায়ক, পরিবেশবান্ধব পোশাক সরবরাহের আমাদের যাত্রা চালিয়ে যেতে পেরে আনন্দিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাইক্লোতে আমরা গুণমান এবং সাশ্রয়ী মূল্যকে অগ্রাধিকার দেয়। গ্রাহকের চাহিদার কথা চিন্তা করেই বসুন্ধরা সিটিতে আরো একটি আমাদের নতুন শোরুম।’

মাইক্লোর পরিচালক (ক্রিয়েটিভ ডিজাইন ইনোভেশন অ্যান্ড মার্কেটিং) বাবু আরিফ বলেন, ‘বসুন্ধরা সিটিতে বড় পরিসরে এই শোরুমটি মাইক্লোর জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। জাপানি পোশাক, লাইফস্টাইল ও কোয়ালিটি থেকে অনুপ্রাণিত হওয়ায় মাইক্লো জাপানি গুণগতমান ও উদ্ভাবনী কাপড়ের উপাদানকে অনুসরণ করছে। একইভাবে পোশাক তৈরি ও গ্রাহকদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিটি ধাপে সর্বোচ্চ পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টিও নিশ্চিত করছে। আমি বিশ্বাস করি, দাম, মান ও চাহিদা বিবেচনায় সর্বসাধারণের পোশাকের প্রিয় ব্র্যান্ডই নয় বরং ফ্যাশনে নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠবে মাইক্লো।’

অন্যদিকে, মাইক্লোতে আন্তর্জাতিক মানের বিক্রয় সেবা নিশ্চিত করতে চান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (মার্চেন্ডাইজিং, সেলস, হিউম্যান রিসোর্স ও স্টোর অপারেশন) এ এইচ এম আরিফুল কবির। তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা সিটিতে এটি আমাদের তৃতীয় স্টোর। আমরা সমগ্র বাংলাদেশে মাইক্লো প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।’

মাইক্লোর গ্লোবাল বিজনেস ডিরেক্টর তাদাহিরো ইয়ামাগুচি বলেন, ‘মাইক্লো একটি ব্র্যান্ডের চেয়েও বেশি কিছু; এটি সৃজনশীলতা, টেকসইতা এবং উদ্ভাবনের প্রতীক। আমরা আধুনিক জীবনযাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আমাদের জাপানি-অনুপ্রাণিত ডিজাইনের মাধ্যমে পোশাক শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

উদ্বোধন উপলক্ষে বসুন্ধরা সিটি লেভেল ৫ এ ক্রেতাদের জন্য সপ্তাহব্যাপী আকর্ষণীয় পুরস্কারের পাশাপাশি রয়েছে সব পণ্যের ওপর বিশেষ মূল্যছাড়। ৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ এবং চট্টগ্রামে নতুন শোরুম উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

তিন দিনের পর্যটন মেলায় ৪০ কোটি টাকার ব্যবসা

তিন দিনের পর্যটন মেলায় এবার প্রায় ৪০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। মেলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রায় তিন কোটি টাকার টিকিট বিক্রি করেছে। সব মিলিয়ে ১৩তম বারের মতো তিন দিনের এই মেলায় প্রায় ৪০ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। গত শনিবার তিন দিনের এই মেলার শেষ দিন ছিল।

বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ) নামে ১৩তম বারের মতো আয়োজিত এই মেলা গত বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হয়েছিল। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের চীন–মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলার আয়োজক ছিল ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে মেলার ব্যবসাসংক্রান্ত এসব তথ্য জানিয়েছে টোয়াব।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মেলার শেষ দিনে অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলোকে স্মারক ও সনদ প্রদান করা হয়। মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নুজহাত ইয়াসমিন। আরও উপস্থিত ছিলেন টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান, পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) মো. তাসলিম আমিন প্রমুখ।

* মেলায় প্রায় তিন কোটি টাকার টিকিট বিক্রি করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। * দেশের পর্যটন খাতে অবদানের জন্য পুরস্কৃত করা হয় তিন সাংবাদিকসহ ১৩ জনকে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশে পর্যটনশিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত। বাংলাদেশেও পর্যটনশিল্প রয়েছে। তবে আমরা এখনো সেই কাঙ্ক্ষিত অবস্থানে পৌঁছাতে পারিনি। এর মানে এই নয় যে আমাদের সম্ভাবনা নেই। বরং আমরা এখনো তা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারিনি।’

বিজ্ঞপ্তিতে টোয়াব আরও জানায়, এবারের মেলায় এয়ারলাইন, হোটেল, রিসোর্ট, ট্যুর অপারেটর, হাসপাতাল, ক্রুজ লাইনসহ বিভিন্ন ভ্রমণ ও পর্যটনসংশ্লিষ্ট ৮০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। সব মিলিয়ে মোট ১৫০টি স্টল ছিল এবারে মেলায়। মেলায় হোটেল ও রিসোর্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ ছাড়ে রুম এবং ভ্রমণ প্যাকেজ বিক্রি করেছে। ছয়টি হোটেল ও রিসোর্ট মেলায় তাদের শেয়ার বিক্রি করেছে, যা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের ইতিবাচক ইঙ্গিত।

বিজ্ঞপ্তিতে টোয়াব জানায়, মেলার প্রথম দিনে বাংলাদেশ ও নেপালের ট্রাভেল ট্রেড শিল্পের সংযোগ স্থাপন শীর্ষক বিটুবি নেটওয়ার্কিং আয়োজিত হয়। এ ছাড়া ফিলিপাইন, মালদ্বীপ, ভুটান, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা—এসব দেশের মধ্যে বিটুবি সেমিনার আয়োজন করা হয়। মেলায় দেশের পর্যটন খাতে অবদানের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন তিন সাংবাদিকসহ ১৩ জন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন দিনের পর্যটন মেলায় ৪০ কোটি টাকার ব্যবসা