অমর একুশে বইমেলায় গবেষক ও লেখক রিয়াজুল হকের ‘দ্য সিক্রেট অব সাকসেস’ নামে নতুন বই এসেছে। পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে বইটি লেখা হয়েছে। 

বইটি প্রসঙ্গে লেখক রিয়াজুল হক বলেন, “আমরা পৃথিবীর জীবন এবং আখিরাতে কী চাই? অবশ্যই সাকসেস চাই। সেই সাকসেস কিভাবে অর্জন করা সম্ভব, সেটা তো মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে বলে দিয়েছেন। হাদিসেও বিষয়গুলো এসেছে। এখন প্রয়োজন পবিত্র কুরআনের নির্দেশনা মেনে চলা এবং রাসূল (সা.

)-কে অনুসরণ করা। যদি আমরা সেইভাবে জীবন পরিচালনা করতে পারি, তাহলে ইহকাল পরকাল সবখানেই সফলতা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ।”

বইটি পরিবার পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশক সোহানুর রহিম শাওন বলেন, “লেখক বইটিতে সাকসেস সংশ্লিষ্ট বিষয়সহ মোটিভেশনাল বিষয় অত্যন্ত সহজভাবে ইসলামের আলোকে আলোচনা করেছেন। যারা  মহান আল্লাহর রহমতে দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হতে চান, এই বইটি তাদের জন্য টনিকের মত কাজ করবে ইনশাআল্লাহ।”

আরো পড়ুন:

ভ্রমণ আমার কাছে এক প্রার্থনা: ফাতিমা জাহান

বইমেলার তৃতীয় দিনে ৩২ নতুন বই প্রকাশিত

বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মৌমিতা রহমান।

লেখক রিয়াজুল হক বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকে যুগ্ম পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং অনলাইন পোর্টালে নিয়মিত কলাম লিখে থাকেন।

বইটি অনলাইন প্লাটফর্ম রকমারিসহ একুশে বইমেলায় পরিবার পাবলিকেশন্সের ৭৩৬-৭৩৭ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।

ঢাকা/হাসান/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আল ল হ জ ল হক বইম ল

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ