নাক কান গলার যত্নে যেসব অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি
Published: 5th, February 2025 GMT
আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নাক-কান-গলা। শরীরের এসব অঙ্গ বেশ নরম। অনেকেই আমরা এসব অঙ্গের প্রতি যত্ন নিতে উদাসীন। তবে শরীরের এসব অঙ্গের প্রতি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।নাক, কান ও গলার যত্ন নেওয়ার সঠিক উপায় জানিয়েছেন নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডা. মশিউর রহমান।
নাক: নিঃশ্বাস গ্রহণের সময় বাতাস আমাদের নাকের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করে। নাক দিয়ে আমরা ঘ্রাণ নিয়ে থাকি এবং নাকের অনেক কাজ রয়েছে। নাক ফুসফুসকে রক্ষা করে। কারণ নাক দিয়ে যদি জীবাণু বা দূষিত বাতাস ঢুকে যায় সেটা কিন্তু ফুসফুসে ইফেক্ট ফেলে। তাই আপনার যদি নাক ভালো না থাকে, নাক বন্ধ থাকে, যদি নিঃশ্বাস নিতে না পারেন তাহলে ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে। নাক দিয়ে বাতাস নিতে না পারলে রাতের বেলা ঘুমানোর সময় আপনি মুখ দিয়ে বাতাস নেবেন। ফলশ্রুতিতে কিন্ত আপনার নাক ডাকাসহ নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবে। সুতরাং নাকের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। নাকের যত্নের মধ্যে অন্যতম একটি যত্ন নাক আপনি খোঁচাবেন না। যেকোন কিছু দিয়ে নাক পরিষ্কার করার চেষ্টা করবেন না। আঙুল নাকের ভেতরে ঢুকিয়ে দেবেন না। এটি নাকের অন্যতম একটি যত্ন। যদি নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, ঠাণ্ডা, সর্দি যদি প্রায়ই লেগে থাকে এবং নাকের মাংস বৃদ্ধি পেয়ে যায় তাহলে আপনাকে একজন নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
কানের যত্ন: কানের কাজ হলো শ্রবণ এবং ভারসাম্য রক্ষা করা। আমি দাঁড়িয়ে আছি কিংবা মাথা ব্যথা করছে এগুলো কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করছে কান। কানের ব্যালান্সিং এ কোন সমস্যা হলে মানুষ সুস্থভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। যেকোন সময় যে কেউ হঠাৎ করে মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারে। কানের যত্নের জন্যে আমরা উচ্চ শব্দ থেকে দূরে এবং নিরাপদে থাকবো। উচ্চ শব্দের কোন জায়গায় গেলে কানে আমরা ইয়ার প্লাগ ব্যবহার করতে পারি। আরেকটা বিষয় কানকে কখনোই খোঁচানো যাবে না। কটনবার, চাবির রিং কিংবা কাঠি কোনো কিছু দিয়েই কান খোঁচানো যাবে না। কান খোঁচাতে গেলে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে এবং স্থায়ীভাবে বধিরতা হতে পারে।
আরো পড়ুন:
শীতকালে বিটরুট কেন খাবেন
হাঁটবেন নাকি সিঁড়ি টপকাবেন
গলা: গলা দিয়ে আমরা কথা বলি এবং খাবার গ্রহণ করি। আমরা কখনো এমন কিছু সেবন করবো না যা গলাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত ঠাণ্ডা খাবার এরিয়ে যেতে হবে। উচ্চ শব্দে আমরা কথা বলার চেষ্টা করবো না এবং আমরা চিল্লাচিল্লি করবো না। গলায় কোন ধরনের ফোলাভাব, আলসার, ঢোক গিলতে কষ্ট, শ্বাসকষ্ট কিংবা টনসিল হলে আমরা একজন নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবো।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ট ব য ক চ কর র স য গ র যত ন যত ন ন
এছাড়াও পড়ুন:
অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।
বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে