পাবনার সুজানগর উপজেলায় পুলিশের গাড়ি থামিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল ওহাবকে আবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের মথুরাপুর গাজনার বিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গত রোববার বিকেলে উপজেলা সদরের মথুরাপুর স্কুল গেট এলাকা থেকে আবদুল ওহাবকে গ্রেপ্তারের পর একদল ব্যক্তি পুলিশের গাড়ি থামিয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। এ ঘটনায় করা মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আবদুল ওহাব সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার আসামি।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, আবদুল ওহাব গাজনার বিল এলাকার একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল সাতটার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁকেসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে পুলিশের গাড়ি থামিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আরও ১১ জন গ্রেপ্তার আছেন।

আরও পড়ুনপাবনায় পুলিশের গাড়ি থামিয়ে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনতাই০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আবদুল ওহাবের বাড়ি উপজেলা সদরের মথুরাপুর স্কুল গেট এলাকায়। গত রোববার বিকিলে আসরের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। মুহূর্তেই তাঁর গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়েক শ লোক জড়ো হয়ে পুলিশের গাড়ি থামিয়ে আবদুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় সুজানগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজাহার আলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় ৬৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০০–৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর স জ নগর আওয় ম উপজ ল ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর

গাজীপুর নগরের কাশিমপুর শ্মশান মন্দিরে আংশিক প্রস্তুত ছয়টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। তবে কারা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করেছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কাশিমপুর শ্মশান মন্দিরে প্রতিবছরের মতো এবারও পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য তৈরি করা হচ্ছিল বিভিন্ন প্রতিমা। প্রতিমাগুলো তখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি, রংও করা হয়নি। গতকাল দুপুরে বৃষ্টি শুরু হলে কারিগর ও মন্দিরসংলগ্ন লোকজন কাজ বন্ধ রেখে চলে যান। পরে সন্ধ্যায় মন্দিরে এসে তাঁরা দেখতে পান, পাঁচ থেকে ছয়টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, পূজা শুরু হয়নি বলে এখনো পাহারার ব্যবস্থা করা হয়নি। মন্দিরের আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরাও নেই। কারা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করেছে, তা তারা জানে না। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিমাগুলো আবার মেরামত করা হবে।

অগ্রগামী যুব সংঘ সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্ডপের সভাপতি প্রবীর দত্ত বলেন, ‘গতকাল পূজা মন্ডপের কাজ শেষে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। বিকেল বেলা কে বা কারা পূজামন্ডপে ঢুকে ৫-৬ টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে; অন্যগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্নের মধ্যে আছি।’

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, চুরি করতে এসে দুর্বৃত্তরা ভেতরে ঢুকে প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। প্রতিমাগুলোর কাজ এখনো শেষ হয়নি। সেগুলো মেরামতের কথা জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ