শহরে রিক্সা-মিশুক মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদের সমাবেশ ও মিছিল
Published: 5th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন রিক্সা-মিশুক মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদের সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় চাষাড়া শহীদ মিনারে নগরী যানজট মুক্ত করতে লাইসেন্সবিহীন রিক্সা-মিশুক ও অটোরিক্সা চলবেনা, অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এ স্লোগানকে সামনে রেখে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন রিক্সা-মিশুক মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাস।
সভাপতির বক্তব্যে আবদুর রহমান বিশ্বাস বলেন, নারায়ণগঞ্জ একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। রাজনীতি, ব্যবসা-বানিজ্য সহ সকল ক্ষেত্রে রয়েছে এ জেলার গুরুত্বপূর্ণ অবদান। পৌরসভা পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন হওয়ার পরেও আমরা সবসময় সেখান থেকে নাম্বার প্লেট নিয়ে বৈধভাবে আমাদের রিক্সা ও মিশুক গুলো পরিচালনা করে আসছি।
কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পর থেকে শহরের ভিতরে মাত্রাতিরিক্ত অটো ও মিশুকের সংখ্যা বেড়ে গেছে। যার ফলে নগরীতে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে চরম যানজট। সে কারনে নগরবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে আমরা একমত। যদি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চক্রান্ত করে তাহলে তাকে আমরা প্রতিহত করবো। প্রয়োজনে শ্রমিকদের সাথে নিয়ে আমরা মাঠে নামবো। প্রয়োজন হলে আমরা পূণরায় আগামীকালও আমাদের কর্মসূচী চলমান রাখবো।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন রিক্সা-মিশুক মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সানু, যুগ্ম সম্পাদক ইউসুফ খান, নাসির হোসেন, সোহাগ আহমেদ, সোহেল, মঞ্জু ভান্ডারী, রাজু আহমেদ, মোক্তার হোসেন, আফজাল হোসেন, কামরুল ইসলাম, জসিম, সেলিম, নুর ইসলাম, বাবু সহ প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স ট
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।