পুরোনো চার বিভাগের সীমানাকে চারটি প্রদেশে ভাগ করে প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। ক্ষমতার প্রত্যর্পণ বিবেচনায় দেশে বিশাল জনসংখ্যার পরিষেবা ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণ করার লক্ষ্যে এ প্রস্তাব করেছে তারা। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরের জনসংখ্যা ও পরিষেবার ব্যাপ্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে নয়াদিল্লির মতো ফেডারেল সরকার নিয়ন্ত্রিত ‘ক্যাপিটাল সিটি গভর্নমেন্ট’ অর্থাৎ ‘রাজধানী মহানগর সরকার’ গঠনের সুপারিশও করেছে কমিশন।
গতকাল বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এবং সরকারের কার্যপরিধি সুবিস্তৃত হওয়ার ফলে বর্তমান প্রশাসনিক ও স্থানীয় সরকার কাঠামো যথেষ্ট বলে প্রতীয়মান নয়। অন্যদিকে, এককেন্দ্রিক ব্যবস্থায় মন্ত্রণালয় পর্যায়ে খুঁটিনাটি বহু কাজ করা হয়। প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা চালু করা গেলে এককেন্দ্রিক সরকারের পক্ষে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার সুযোগ কমবে। পাশাপাশি রাজধানী ঢাকা নগরের ওপরও কমবে চাপ।
‘রাজধানী মহানগর সরকার’ গঠনের ব্যাপারে কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, অন্যান্য প্রদেশের মতোই এখানে নির্বাচিত আইনসভা ও স্থানীয় সরকার থাকবে। কমিশন বলেছে, ঢাকা মহানগরী, টঙ্গী, কেরানীগঞ্জ, সাভার ও নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে রাজধানী মহানগর সরকারের আয়তন নির্ধারণ করা যেতে পারে।
জেলা পরিষদ বাতিল
কমিশন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্থানীয় সরকারের একটি ধাপ হিসেবে জেলা পরিষদ বহাল থাকবে কিনা সে বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা রয়েছে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কখনই নাগরিকের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হননি। কিছু জেলা পরিষদ বাদে অধিকাংশেরই নিজস্ব রাজস্বের শক্তিশালী উৎস নেই। ফলে অধিকাংশ জেলা পরিষদ আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়, তাই জেলা পরিষদ বাতিল করা যেতে পারে। জেলা পরিষদের সহায়-সম্পদ প্রস্তাবিত সংশ্লিষ্ট প্রাদেশিক সরকারের কাছে হস্তান্তর করা যেতে পারে।
পৌরসভা শক্তিশালীকরণ
পৌরসভার গুরুত্ব বিবেচনায় স্থানীয় সরকার হিসেবে একে অধিকতর শক্তিশালী করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তাদের মতে, পৌরসভা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন ওয়ার্ড মেম্বারের ভোটে। কারণ, চেয়ারম্যান একবার নির্বাচিত হলে মেম্বারদের আর গুরুত্ব দেন না।
উপজেলা পরিষদকে শক্তিশালী করা
স্থানীয় সরকার হিসেবে উপজেলা পরিষদকে আরও শক্তিশালী করার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদটি বাতিল করা যেতে পারে। উপজেলা পরিষদকে আরও জনপ্রতিনিধিত্বশীল করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশকে আবর্তন পদ্ধতিতে পরিষদের সদস্য হওয়ার বিধান করার কথা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে উপজেলা পরিষদের অধীনে ন্যস্ত না রেখে তাঁকে শুধু সংরক্ষিত ও বিধিবদ্ধ বিষয়– যেমন আইনশৃঙ্খলা, ভূমি ব্যবস্থাপনা, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ইত্যাদি দেখাশোনার ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য তাঁকে রাজনৈতিক প্রভাবের বাইরে রাখা। একজন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে উপজেলা পরিষদের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে বলে প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।
ইউনিয়ন পরিষদ
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন মেম্বারের ভোটে। এ ছাড়া প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে নারী মেম্বার করার ব্যাপারেও সুপারিশ করেছে কমিশন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সংখ্যা জনসংখ্যা অনুপাতে ৯ থেকে ১১ করা যেতে পারে। প্রতিটি ওয়ার্ডে দু’জন সদস্য নির্বাচিত হবেন, যাদের মধ্যে একজন অবশ্যই নারী হতে হবে বলে বিধান করার সুপারিশ করা হয়। ফলে একদিকে নারীদের ৫০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব এবং তাদের কর্ম এলাকা সুনিশ্চিত হবে।
ইউনিয়ন পরিষদকে অধিকতর দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়, উপানুষ্ঠানিক ও মসজিদভিত্তিক উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নের দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদকে দেওয়া যেতে পারে। ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কৃষি ও পানিবিষয়ক কমিটি গঠন করা যেতে পারে। একইভাবে পরিষেবা-সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য কমিটি গঠন করা যেতে পারে। ইউনিয়ন পরিষদে বর্তমানে যে গ্রাম আদালত বা সালিশি ব্যবস্থা রয়েছে তা আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করা হলে গ্রাম পর্যায়ে মামলা-বিরোধ ইত্যাদি কমে আসবে।
কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ গঠনের প্রস্তাব
কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। ‘জনমুখী প্রশাসনের লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত পুনর্গঠন’ শিরোনামে এই নতুন দুটি বিভাগ গঠনের সুপারিশ করা হয়। কমিশন তাদের প্রস্তাবে বলেছে, বর্তমানে দেশে ৮টি প্রশাসনিক বিভাগ রয়েছে। ভৌগোলিক ও যাতায়াতের সুবিধা বিবেচনায় কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ গঠনের দাবি অনেক দিনের। এ ছাড়া জনসংখ্যা ও যোগাযোগ বিবেচনায় ১০টি বিভাগকে পুনর্বিন্যাস করার প্রস্তাবের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে কমিশন।
ডিগ্রি কলেজ এলাকার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তি
ডিগ্রি পর্যায়ের কলেজকে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তির সুপারিশ করেছে কমিশন। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে ২২০০টির বেশি কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পাঠদান চালু আছে। ঢাকা শহরের সাতটি কলেজই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। বাকি কলেজের শিক্ষা প্রশাসন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করে। এ বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মতো স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা বোর্ডের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ফলে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষত্ব হারিয়ে ফেলেছে।
বিপুলসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের ১১টি অনুষদের আওতায় ৪৫টি বিভাগে অধ্যয়নরত প্রায় ৩৪ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে দুরূহ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় অনেক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে, ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার ডিগ্রি পর্যায়ের কলেজকে ওই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তির সুপারিশ করছে কমিশন।
নাগরিক সেবায় পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল চায় কমিশন
সরকারি চাকরি ছাড়াও পাসপোর্ট, দ্বৈত নাগরিকত্ব, সমাজসেবা সংস্থা বা এনজিওর বোর্ড গঠনের মতো নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল করার জন্যও সুপারিশ করেছে কমিশন। এসব বিষয়ে বলা হয়, একজন নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র থাকলে তার বিষয় নিষ্পত্তি করা যেতে পারে।
পুলিশের বদলে ইমিগ্রেশন অফিসার নিয়োগ
বর্তমানে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনে পুলিশ কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। বিশ্বের বহু দেশে পুলিশের বদলে আলাদা ইমিগ্রেশন অফিসার নিয়োগ করা হয়। বাংলাদেশেও যোগ্যতার ভিত্তিতে আলাদা ইমিগ্রেশন অফিসার নিয়োগ করার সুপারিশ করেছে কমিশন। প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ থেকে ২০ শতাংশ ডেপুটেশনে রাখা যেতে পারে। ইমিগ্রেশন অফিসারদের দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা যেতে পারে।
সাব-রেজিস্ট্রি অফিসকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়া
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিস বর্তমানে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করছে। অন্যদিকে ভূমি ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত বিভিন্ন অফিস ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে। ভূমি ব্যবস্থাপনা ও হস্তান্তর-সংক্রান্ত দুটি আলাদা অফিস থাকায় জনদুর্ভোগ ও জটিলতা বাড়ে। এমন দ্বৈত ব্যবস্থাপনা বাতিল করে ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিসকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যকর করতে উপজেলা পর্যায়ে দ্বিতীয় শ্রেণির একজন ভূমি ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার পদ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায় কর্মরত কানুনগোদের পিএসসির পদোন্নতি পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অধীনে পদোন্নতি ও পদায়নের ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়েছে।
উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট স্থাপন
দেশের উপজেলা পর্যায়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট পুনঃস্থাপনের সুপারিশ করেছে কমিশন। এ বিষয়ে কমিশন বলেছে, এটি করা হলে সাধারণ নাগরিকরা অনেক বেশি উপকৃত হবে। এ বিষয়েও সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছে তারা।
কমিশন ‘উপজেলা জননিরাপত্তা কর্মকর্তা’ পদের সুপারিশ করেছে। কমিশন বলেছে, থানার ‘অফিসার ইনচার্জ’ এর কাজ ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার তদারকির জন্য উপজেলা পর্যায়ে একজন সহকারী পুলিশ সুপারকে ‘উপজেলা জননিরাপত্তা কর্মকর্তা’ হিসেবে পদায়ন করা যেতে পারে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের দেওয়া সুপারিশের বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার কথা আমরা বরাবরই বলে আসছি। এই কমিশনের সুপারিশে এমন বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে। আর শুধু স্থানীয় ডিগ্রি কলেজ নয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনার দায়িত্বও স্থানীয় সরকারকে দেওয়া উচিত। কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে নিশ্চয়ই সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠের মতগুলো সরকার নেবে বলে মনে করি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র স প র শ কর ছ স থ ন য় সরক র ব ভ গ গঠন র ব ত ল কর ক সরক র সরক র র জনস খ য পর য য় র জন য উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স ক্যাথলিক গির্জার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে কোনো একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। নিজের এ মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বিশাল এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
জেডি ভ্যান্স বলেন, তাঁর যে মন্তব্য নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটি মূল বক্তব্য থেকে কেটে নেওয়া একটি অংশ। কোন প্রসঙ্গে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন, সেটা দেখানো হয়নি।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে তরুণদের সংগঠন ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র একটি অনুষ্ঠানে এক তরুণীর প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা হিন্দু সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছেন।
স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।
স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়া পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।জবাব দিতে এক্স পোস্টে ভ্যান্স বলেন, একটি পাবলিক ইভেন্টে তাঁকে তাঁর আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি ওই প্রশ্ন এড়িয়ে যেত চাননি, উত্তর দিয়েছেন।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘প্রথমেই বলি, প্রশ্নটি আসে আমার বাঁ পাশে থাকা একজনের কাছ থেকে, আমার আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে। আমি একজন পাবলিক ফিগার, লোকজন আমার ব্যাপারে জানতে আগ্রহী এবং আমি প্রশ্নটি এড়িয়ে যেতে চাচ্ছিলাম না।’
এ বছর জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে জেডি ভ্যান্স ও তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স