শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি হলো! চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ছিটকে গেলেন পাকিস্তান ওপেনার সাইম আইয়ুব। জানুয়ারিতে অ্যাঙ্কেলের চোটে পড়ার পর থেকে সাইমকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা ছিল।

তাঁকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। তবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেহেতু দলে পরিবর্তন আনার সুযোগ আছে, সাইমকে পাওয়ার আশায় ছিল পাকিস্তানও। সেই আশা অবশেষে শেষ হয়ে গেল আজ। পিসিবি আজ এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে, ১০ সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন পাকিস্তান দলের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান।

সাইম চোটে পড়েন গত মাসের শুরুতে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে। কেপটাউন টেস্টে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান রায়ান রিকেলটনের ব্যাট ছুঁয়ে বল স্লিপ থেকে বাউন্ডারির দিকে যাচ্ছিল, সেই বল থামাতে গিয়ে অ্যাঙ্কেলে চোট পান সাইম। মাঠে তাঁর প্রতিক্রিয়া দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, গুরুতর কিছুই হয়েছে।

দারুণ ছন্দে ছিলেন সাইম.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ