চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারে কাপড়ের গুদামে আগুন
Published: 8th, February 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের একটি বহুতল বিপণিবিতানে থাকা কাপড়ের গুদামে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকাল ছয়টার দিকে পুরোনো জলসা মার্কেটের গুদামটিতে আগুন লাগে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল আটটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানায়, সকাল ছয়টার দিকে পুরোনো জলসা মার্কেটে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে আগ্রাবাদ, চন্দনপুরা ও লামারবাজার স্টেশনের ৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। সাততলা ভবনটির দ্বিতীয় তলার ওই গুদামে তৈরি পোশাক কারখানার স্টক লটের মালামাল এবং ফেলনা টুকরা কাপড় (ঝুট) ছিল।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো.
এর আগে গত বছরের ২৭ জুন রিয়াজউদ্দিন বাজারের রিজওয়ান কমপ্লেক্স ও মোহাম্মদিয়া প্লাজার মধ্যবর্তী অংশে একটি দোকানে আগুন লাগে। সে ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। একই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি বাজারের আমতল এলাকার একটি পোশাক বিক্রয়কেন্দ্রে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।