আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব খোরশেদ আলম ভূঁইয়া বলেন, আপনারা যেখানেই সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজি দেখবেন সেখানেই আপনারা প্রতিবাদ করবেন।

আমাদের নেতা বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ আন্দোলন সংগ্রাম এর মাধ্যমে কিন্তু সারা বাংলাদেশে আড়াইহাজারকে একটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে সুপরিচিত করেছেন।

উনি আড়াইহাজারকে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। আর তা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব হল নজরুল ইসলাম আজাদ সাহেবের নেতাকর্মীদের। আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধভাবে এই মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদের নির্দেশনায় গোপালদী পৌরসভা যুবদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল পূর্বে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।

তিনি আরও বলেন, কেউ যদি চাঁদাবাজি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে সে যদি দলীয় হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আপনার অবস্থান করবেন এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন। সে যত বড় নেতাই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। আর রাজপথে ত্যাগী নেতাকর্মীদেরকে অবশ্যই আপনারা মূল্যায়ন করবেন তারাই আগামীতে নেতৃত্ব দিবেন এবং সামনের সারিতে থাকবে। 

গোপালদী পৌর যুবদলের সভাপতি পদপ্রার্থী রুহুল আমিনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব খোরশেদ আলম ভূঁইয়া। 

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, নাদিম হোসাইনসহ যুবদলের নেতৃবৃন্দ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ য বদল র আপন র করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ