নতুন গানের জন্য আট বছর পর আবারও জুটি বেঁধেছেন ফুয়াদ আল-মুক্তাদির ও ইমরান মাহমুদুল। এই শিল্পী ও সংগীত পরিচালক জুটি এরই মধ্যে প্রকাশ করেছেন তাদের নতুন গান ‘মন বুঝলি না’।
গানটির কথা লিখেছেন আবদার রহমান। সুর করেছেন ফুয়াদ আল-মুক্তাদির। যৌথভাবে সংগীতায়োজন করেছেন ফুয়াদ ও সঞ্জয়। সৈকত রেজার পরিচালনায় গানের ভিডিওতে মডেল হয়েছেন সুমনা।
সম্প্রতি শিল্পী ইমরান মাহমুদুলের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশের পরপরই গানটি শ্রোতাদের মাঝে সাড়া ফেলতে শুরু করে। দুই দিনের মাথায় ছয় মিলিয়নের বেশি শ্রোতা গানটি শুনেছেন। সেসব শ্রোতার কাছ থেকেই এখন আয়োজন নিয়ে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন ফুয়াদ-ইমরান জুটি।
ইমরানের কথায়, ‘অল্প সময়ে এত সাড়া পাওয়া অন্য রকম ভালো লাগার। এই ভালো লাগাটুকুর জন্যই আমরা শিল্পী ও মিউজিশিয়ানরা নিরলস কাজ করে যাই। তবে শ্রোতার প্রত্যাশা পূরণের কৃতিত্বটা আমার একার নয়। যারা ‘মন বুঝলি না’ নামের সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত ছিলেন, প্রশংসা তাদের সবারই প্রাপ্য।’
আট বছর পর ফুয়াদের সঙ্গে কাজ করা প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, ২০১৭ সালে ফুয়াদ আল-মুক্তাদিরের সুর ও সংগীতায়োজনে ‘ধোঁয়া’ শিরোনামের একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছিলাম। আবদার রহমানের লেখা সেই গান অনেকের মনে ছাপ ফেলেছিল। তখন থেকেই অনেকে চাইছিলেন, আমরা একসঙ্গে আরও কিছু কাজ করি। কিন্তু দু’জনের অবস্থান দুই দেশে হওয়ায় নিয়মিত কাজের সুযোগ ছিল না। কিন্তু কাজ করার ইচ্ছা দু’জনেরই ছিল। তাই এতদিন পরে আবার নতুন আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে ওঠা। ভিন্নতা নিয়ে আসার জন্য গানের ভিডিওতে আনকোড়া মডেল সুমনাকে নেওয়া। নিপুণ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সুমনাও বুঝতে দেননি গানের মডেল হয়ে পর্দায় এটাই তাঁর প্রথম উপস্থিতি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ য় দ আল ম ক ত দ র ক জ কর ইমর ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা