ব্লেড দিয়ে শ্বশুরের গোপনাঙ্গ কেটে দিলেন পুত্রবধূ
Published: 9th, February 2025 GMT
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুরের গোপনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফাতেমা বেগম (৩০) নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে উপজেলার ৩নং সিংড়া ইউনিয়নের বিরাহীমপুর গুচ্ছ গ্রামে এ ঘটনায় পুলিশ ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে।
গুরুতর আহত শ্বশুর শাহ জামাল প্রামাণিক (৬৫) বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে শাহ জামালের বড় ছেলে মনির প্রামাণিকের স্ত্রী অভিযুক্ত ফাতেমা বেগম জানান, প্রায় ১৫ বছরে আগে মনিরের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সেই থেকে একই ইউনিয়নের বারোপাইকার গড় এলাকায় স্বামীর বাড়িতে বসবাস করছিলেন। তার স্বামী পেশায় একজন শ্রমিক। পরে, সেখানে থাকা অবস্থায় স্বামী প্রায় দুই-তিন লাখ টাকা ঋণ হয়। গত দুই মাস আগে তার স্বামী নিজের বাড়ি বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করেন। পরে শ্বশুর তার নিজের বাড়িতে তাদেরকে নিয়ে আসেন এবং রান্নাঘরের এক পাশে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। সে সময় তার স্বামী মনির তিন সন্তানসহ তাকে রেখে কাজের জন্য অন্য জেলায় চলে যান। তার কিছুদিন পর থেকে শাশুড়ি ও শ্বশুরের সঙ্গে থাকার জায়গা নিয়ে ঝগড়া হতো এবং বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলতেন তারা। এছাড়া শ্বশুর প্রায়ই তার সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতেন। শনিবার রাতে বাড়িতে কেউ ছিলেন না, এসময় শ্বশুর শাহজামাল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এরপর তাকে টেনে শোবার ঘরে নিয়ে যায় এবং অনৈতিক কাজ করার চেষ্টা করেন। সে সময় আগে থেকে নিজের কাছে রাখা ব্লেড দিয়ে শ্বশুরের পুরুষাঙ্গ কেটে দেন তিনি।
পরে শাহ জামালের চিৎকারে লোকজন ওই ঘরে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন।
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহসান হাবীব বলেন, শনিবার রাত পৌনে ১০টায় আহত শাহ জামাল প্রামাণিককে তার পরিবারের লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসেছেন। তার পুরুষাঙ্গের গোড়ার দিকের প্রায় ৪ সেন্টিমিটার অংশ কেটে গেছে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। পুরুষাঙ্গে আটটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন পর্যবেক্ষণে আছেন।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, শাহ জামাল প্রামাণিক নামের এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহত ব্যক্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহ জামালের ছেলের স্ত্রীকে থানায় নেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ব স থ য কমপ ল ক স উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।