Samakal:
2025-08-01@01:57:07 GMT

অ্যাপল এআই ইন্টেলিজেন্স

Published: 9th, February 2025 GMT

অ্যাপল এআই ইন্টেলিজেন্স

আইওএস-১৮ ও আইপ্যাডওএস-১৮ সংস্করণের মতো সর্বাধুনিক উদ্ভাবনা দিয়ে নতুন পরিষেবা চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের শেষভাগে কয়েকটি পণ্যকে ইন্টেলিজেন্স আওতাভুক্ত করেছে অ্যাপল। ইতোমধ্যে আইওএস-১৮, আইপ্যাডওএস-১৮ সংস্করণের মতো সর্বাধুনিক উদ্ভাবনা দিয়ে বিশেষ পরিষেবার উদ্যোগ নিয়েছে অ্যাপল উন্নয়ক বিভাগ। যদিও অনেক দেশে অ্যাপল গ্রাহকের জন্য এখনও এমন পরিষেবা উন্মুক্ত করা হয়নি। যেসব দেশে এখনও পরিষেবা মিলছে না, কবে নাগাদ এসব পরিষেবা মিলবে, সে বিষয়ে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন।
টিম কুক বলেছেন, ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে ভারতে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স পরিষেবা পাওয়া যাবে। ভারতে শুরুতে স্থানীয় ভাষায় নয়, ইংরেজি ভাষায় পরিষেবা অবমুক্ত হবে। ইংরেজির সঙ্গে আরও কয়েকটি ভাষাতেও পরিষেবা দেবে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স। কিন্তু ভারতে ইংরেজি ছাড়া আর কোনো ভারতীয় ভাষায় অ্যাপলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির পরিষেবা পাওয়া যাবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কিছু জানানোর সময় হয়নি। জানা গেছে, ইন্টেলিজেন্স নিয়ে অ্যাপল কঠোর পরিশ্রম করছে। আগামী এপ্রিলে বেশ কয়েকটি ভাষায় ইন্টেলিজেন্স পরিষেবা দেওয়া শুরু করবে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স। ক্রমান্বয়ে জার্মান, ফ্রেঞ্চ, ইতালিয়ান, পর্তুগিজ, স্প্যানিশ, জাপানিজ, কোরিয়ান ও চায়নিজ ভাষায় বিশেষ পরিষেবার ঘোষণা দেবে অ্যাপল। 
সিঙ্গাপুর ও ভারতে স্থানীয় ভাষায় পরিষেবা দেবে অ্যাপল। সারাবিশ্বে আইফোনের বিক্রি আগের তুলনায় বাড়ছে উল্লেখ করে অ্যাপল নির্বাহী প্রধান টিম কুক বলেন, সর্বশেষ ডিসেম্বরের হিসাব বলছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানে আইফোন এখন সর্বোচ্চ বিক্রিযোগ্য পণ্যের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
ইতোমধ্যে ভারতে আইফোন নির্মাণ শুরু হয়েছে। ভারতের বাজারে নিজ দেশে উৎপাদিত হওয়া আইফোন বিক্রিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। গত ডিসেম্বরে ভারতে আইফোন বিক্রির নতুন রেকর্ড গড়েছে। ভারতে সর্বোচ্চ পণ্য বিক্রির তকমা পেয়েছে আইফোন।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোনের বাজার এখন ভারত। অন্যদিকে, পিসি ও ট্যাবলেট বিক্রিতে তৃতীয় বৃহত্তম বাজার। ভবিষ্যতে দেশটিতে আরও অ্যাপ স্টোর খোলার কথা জানান অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইন ট ল জ ন স পর ষ ব আইফ ন

এছাড়াও পড়ুন:

গংগাচড়ায় হিন্দুদের ঘরবাড়ি মেরামতের উদ্যোগ, আতঙ্ক কাটেনি এখনও

রংপুরের গংগাচড়ায় ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ঘিরে সহিংসতার শিকার হিন্দু পরিবারের ঘরবাড়ি মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। তবে ঘটনার তিন দিন পরেও এলাকায় ফেরেনি অনেক পরিবার। আতঙ্কে এখনো আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে অনেকে।

গত ২৭ জুলাই রাতে ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার আগে এলাকায় মাইকিং করে লোকজন জড়ো করা হয়।

পুলিশ, প্রশাসন ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বলছেন, যারা হামলা করেছেন, তাদের মধ্যে অনেকে ছিলেন ‘বহিরাগত’। পাশের নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা থেকে লোকজন এসে হামলা চালিয়ে চলে যায়। হামলার সময় ২২টি ঘরবাড়ি তছনছ ও লুটপাট করা হয়। 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প বসানো হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে পুলিশ টহল। প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঢেউটিন, কাঠ, চাল-ডাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছে এবং ঘরবাড়ি মেরামতের কাজও শুরু হয়েছে। তবু আতঙ্কিত পরিবারগুলো। 

ক্ষতিগ্রস্তদের একজন অশ্বিনী চন্দ্র মোহান্ত বলেন, “সেদিনের ঘটনা ছিল এক ভয়াবহ। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ম অবমাননাকারী কিশোরকে থানা হেফাজতে দিয়েছি। কিন্তু তারপরও ঘরবাড়ি রক্ষা হয়নি। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি এবং কিছু মুরুব্বি আমাদেরকে অভয় দিয়েছিলেন, কিন্তু রক্ষা হয়নি।” 

তিনি আরো বলেন, “আমরা নিজেরাই অভিযুক্ত কিশোরকে থানায় সোপর্দ করেছি। তারপরও মিছিল নিয়ে এসে দুই দফায় আমাদের ২০ থেকে ২৫টি ঘরবাড়ি তছনছ করে দিয়ে লুটপাট করেছে তারা। এদের মধ্যে অধিকাংশ লোকেই অপরিচিত।” 

আরেক ভুক্তভোগী দেবেন্দ্র চন্দ্র বর্মন জানান, “প্রথমে অল্পসংখ্যক কম বয়সী কিছু ছেলে আসে। পরে হাজারো লোকজন এসে আমাদের বাড়িঘরে তাণ্ডব চালায়। অনেকেই এখনো আত্মীয়দের বাড়িতে। আমরা চরম আতঙ্কে আছি।”

রবীন্দ্র চন্দ্রের স্ত্রী রুহিলা রানী বলেন, “ছোট ছেলেটা যদি ভুল করে থাকে, আমরা তাকে থানায় দিয়েছি। কিন্তু তারপরও এমন ধ্বংসযজ্ঞ কেন? আমাদের গরু, সোনা-টাকা সব লুটে নিয়েছে। শুধু চাল-ডাল আর টিনে কি জীবন চলে?”

গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকুসহ একটি প্রতিনিধি দল। তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

গংগাচড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল এমরান বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে কিশোরটিকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয় এবং পরে আদালতের মাধ্যমে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তারপরও পুলিশ প্রশাসন সর্বাত্মক নিরাপত্তায় নিয়োজিত।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহামুদ হাসান মৃধা বলেন, “অপরাধীদের ধরতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হচ্ছে সহায়তা। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পুরো এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে।” 

উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের তথ্যমতে, হামলায় ১৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাতে ২২টি পরিবার বসবাস করতেন। ঘর মেরামতের পর কিছু পরিবার ফিরলেও অভিযুক্ত কিশোর ও তার চাচার পরিবারের কেউ এখনো ফিরে আসেনি।

ঢাকা/আমিরুল/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
  • মেসি বনাম ইয়ামাল: ফিনালিসিমার সময়-সূচি ঘোষণা
  • গংগাচড়ায় হিন্দুদের ঘরবাড়ি মেরামতের উদ্যোগ, আতঙ্ক কাটেনি এখনও