Samakal:
2025-05-01@11:37:04 GMT

অ্যাপল এআই ইন্টেলিজেন্স

Published: 9th, February 2025 GMT

অ্যাপল এআই ইন্টেলিজেন্স

আইওএস-১৮ ও আইপ্যাডওএস-১৮ সংস্করণের মতো সর্বাধুনিক উদ্ভাবনা দিয়ে নতুন পরিষেবা চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের শেষভাগে কয়েকটি পণ্যকে ইন্টেলিজেন্স আওতাভুক্ত করেছে অ্যাপল। ইতোমধ্যে আইওএস-১৮, আইপ্যাডওএস-১৮ সংস্করণের মতো সর্বাধুনিক উদ্ভাবনা দিয়ে বিশেষ পরিষেবার উদ্যোগ নিয়েছে অ্যাপল উন্নয়ক বিভাগ। যদিও অনেক দেশে অ্যাপল গ্রাহকের জন্য এখনও এমন পরিষেবা উন্মুক্ত করা হয়নি। যেসব দেশে এখনও পরিষেবা মিলছে না, কবে নাগাদ এসব পরিষেবা মিলবে, সে বিষয়ে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন।
টিম কুক বলেছেন, ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে ভারতে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স পরিষেবা পাওয়া যাবে। ভারতে শুরুতে স্থানীয় ভাষায় নয়, ইংরেজি ভাষায় পরিষেবা অবমুক্ত হবে। ইংরেজির সঙ্গে আরও কয়েকটি ভাষাতেও পরিষেবা দেবে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স। কিন্তু ভারতে ইংরেজি ছাড়া আর কোনো ভারতীয় ভাষায় অ্যাপলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির পরিষেবা পাওয়া যাবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কিছু জানানোর সময় হয়নি। জানা গেছে, ইন্টেলিজেন্স নিয়ে অ্যাপল কঠোর পরিশ্রম করছে। আগামী এপ্রিলে বেশ কয়েকটি ভাষায় ইন্টেলিজেন্স পরিষেবা দেওয়া শুরু করবে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স। ক্রমান্বয়ে জার্মান, ফ্রেঞ্চ, ইতালিয়ান, পর্তুগিজ, স্প্যানিশ, জাপানিজ, কোরিয়ান ও চায়নিজ ভাষায় বিশেষ পরিষেবার ঘোষণা দেবে অ্যাপল। 
সিঙ্গাপুর ও ভারতে স্থানীয় ভাষায় পরিষেবা দেবে অ্যাপল। সারাবিশ্বে আইফোনের বিক্রি আগের তুলনায় বাড়ছে উল্লেখ করে অ্যাপল নির্বাহী প্রধান টিম কুক বলেন, সর্বশেষ ডিসেম্বরের হিসাব বলছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানে আইফোন এখন সর্বোচ্চ বিক্রিযোগ্য পণ্যের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
ইতোমধ্যে ভারতে আইফোন নির্মাণ শুরু হয়েছে। ভারতের বাজারে নিজ দেশে উৎপাদিত হওয়া আইফোন বিক্রিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। গত ডিসেম্বরে ভারতে আইফোন বিক্রির নতুন রেকর্ড গড়েছে। ভারতে সর্বোচ্চ পণ্য বিক্রির তকমা পেয়েছে আইফোন।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোনের বাজার এখন ভারত। অন্যদিকে, পিসি ও ট্যাবলেট বিক্রিতে তৃতীয় বৃহত্তম বাজার। ভবিষ্যতে দেশটিতে আরও অ্যাপ স্টোর খোলার কথা জানান অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইন ট ল জ ন স পর ষ ব আইফ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মে দিবস ২০২৫ : শ্রমিক-মালিক ঐক্যে গড়বে নতুন বাংলাদেশ

১৮৮৬ সালের ১ মেÑএকটি দিন, একটি দাবি, আর হাজারো শ্রমিকের আত্মত্যাগের মাধ্যমে ইতিহাসে রক্তাক্ত দাগ কেটে দিয়েছিল যে মুহূর্ত, তা আজ বিশ্বব্যাপী ‘মে দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। তখনকার দাবিটি ছিল স্রেফ ৮ ঘণ্টা শ্রমের অধিকার। কিন্তু আজ ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে শ্রমিকের দাবি শুধু সময়
নয়Ñমর্যাদা, সুরক্ষা ও ন্যায্যতার প্রশ্নও।

এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য “শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এদেশ নতুন করে”Ñএ যেন সময়ের এক গুরুত্বপূর্ণ পাঠ। উন্নয়নশীল বাংলাদেশের বাস্তবতায় এই বার্তা কেবল প্রাসঙ্গিক নয়, বরং তা রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান ও সমাজের জন্য এক যৌথ দিকনির্দেশনা।

বাংলাদেশের শ্রমচিত্র ও বাস্তবতা

বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত শ্রমনির্ভর। তৈরি পোশাক শিল্পে প্রায় ৪০ লাখ, কৃষি ও নির্মাণ খাতে আরও কয়েক কোটি মানুষ নিয়োজিত। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে শ্রমনির্ভর খাত থেকে। কিন্তু যাঁরা এই অর্থনীতির ইঞ্জিন হিসেবে কাজ করছেন, সেই শ্রমিকরা কি পেয়েছেন তাদের প্রাপ্য অধিকার ও মর্যাদা?

দুঃখজনক হলেও সত্য, এখনও বহু শ্রমিক পান না ন্যূনতম মজুরি, কর্মস্থলে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবা কিংবা ছুটি সংক্রান্ত মৌলিক সুবিধা। নারী শ্রমিকদের পরিস্থিতি আরও জটিলÑযত্রতত্র হয়রানি, মাতৃত্বকালীন সুবিধার অভাব, কিংবা নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ গড়ে না তোলার ফলে এই খাতেও স্থিতিশীলতা আসছে না।

মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক: দ্বন্দ্ব নয়, দরকার সহমর্মিতা

এক সময় শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক মানেই ছিল দ্বন্দ্ব, ধর্মঘট ও হুমকি। তবে বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতা বলছেÑসহযোগিতাই টেকসই উৎপাদনের চাবিকাঠি। মালিকপক্ষ যখন শ্রমিককে কেবল “ব্যয়” হিসেবে না দেখে “সম্পদ” হিসেবে  বিবেচনা করেন, তখন প্রতিষ্ঠান লাভবান হয়। একইভাবে শ্রমিকও যদি বুঝেন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন মানে তার কর্মস্থলের স্থায়িত্বÑতাহলে দুপক্ষের মধ্যে বিশ্বাসের
ভিত্তি গড়ে ওঠে।

এই বিশ্বাস গঠনের জন্য প্রয়োজন তিনটি স্তম্ভ: 

নীতিগত স্বচ্ছতা Ñ ন্যায্য মজুরি, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা ও চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তা দায়িত্বশীল মালিকপক্ষ Ñ কর্মপরিবেশ, স্বাস্থ্যসেবা ও প্রশিক্ষণ নিশ্চিতে উদ্যোগ সচেতন শ্রমিকশ্রেণি Ñ অধিকার আদায়ের পাশাপাশি কর্তব্য পালনের মানসিকতা

নীতি ও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ ও সংশোধিত ২০১৮ সংস্করণ অনুযায়ী শ্রমিকের অধিকার স্বীকৃত হলেও বাস্তবায়নের জায়গায় ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে  অনানুষ্ঠানিক খাতে (যেমন কৃষি, গৃহপরিচারিকা, গিগ-ওয়ার্কার) শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টি এখনও প্রায় উপেক্ষিত।

এছাড়া, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, দুর্ঘটনা বীমা, এবং পুনঃপ্রশিক্ষণের ব্যবস্থাপনা আরও জোরদার হওয়া জরুরি। সরকার শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন করলেও তা অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

এই প্রেক্ষাপটে ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে’ দেশ গড়ার বার্তাটি যেন শুধুই স্লোগানে সীমাবদ্ধ না থাকে। বরং এটি হোক রাজনৈতিক সদিচ্ছা, আর্থিক বিনিয়োগ ও মানবিক বিবেচনার এক বাস্তব প্ল্যাটফর্ম।
প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ ও নতুন শ্রম বাস্তবতা

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে শ্রমবাজার দ্রুত বদলে যাচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেশন ও গিগ-ইকোনমি অনেক চাকরি বিলুপ্ত করছে, আবার নতুন দক্ষতা চাচ্ছে। বাংলাদেশ যদি সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চায়, তাহলে  শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ, পুনঃস্কিলিং এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এখানে মালিক ও রাষ্ট্র উভয়ের উচিত হবে, শ্রমিককে প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখতে বিনিয়োগ করা, কারণ দক্ষ শ্রমিক ছাড়া কোনো শিল্পই টিকে থাকে না।

মে দিবস: উৎসব নয়, দায়বদ্ধতার প্রতীক

মে দিবস কেবল লাল পতাকা হাতে শোভাযাত্রার দিন নয়, এটি আমাদের মানবিক চেতনার প্রতিফলন। যে শ্রমিক ঘাম ঝরিয়ে ভবন গড়ে, কৃষি জমি চষে, রপ্তানি পণ্য তৈরি করেÑতার জন্য আমাদের উচিত মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করা।

এবছর, আসুন আমরা সবাই রাষ্ট্র, মালিকপক্ষ ও শ্রমিকÑএকটি মানবিক, উৎপাদনশীল ও  শীদারিত্বভিত্তিক সমাজ গঠনের পথে এগিয়ে যাই। শ্রমিকের হাতে গড়া এই বাংলাদেশ হোক তার জন্যই গর্বের জায়গা। 


লেখক পরিচিতি:

মীযানুর রহমান
সাংবাদিক ও সমাজ বিশ্লেষক
মোবাইলঃ ০১৭৫৪১০৯০৭২
যোগাযোগ: : [email protected]

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • র‍্যাংকিংয়ে মিরাজ-জাকেরদের অগ্রগতি
  • চিনি-লবণের অনুপম পাঠ
  • মে দিবস ২০২৫ : শ্রমিক-মালিক ঐক্যে গড়বে নতুন বাংলাদেশ
  • বিদ্যালয়ের ১৮টি গাছ বিক্রি করলেন প্রধান শিক্ষক 
  • কর্ণাটকে ক্রিকেট খেলার সময় বচসা, যুবককে পিটিয়ে হত্যা
  • দেশে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর দাবি 
  • রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডোর’ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব
  • কানাডায় আবারও লিবারেল পার্টির সরকার গঠনের আভাস