আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চারটি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। গতকাল রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে ফেসবুকে ‘Jamaat-e-Islami, Kushtia’ নামের আইডিতে চার প্রার্থীর দলীয় একটি ছবি পোস্ট করে এই তথ্য জানানো হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা জামায়াতের আমির আবুল হাশেম প্রথম আলোকে বলেন, চারটি আসনে আজ (রোববার) মূলত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করা হলো। দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টরি বোর্ড আছে। তাদের সেই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে দৌলতপুর উপজেলা জামায়াতের আমির বেলাল উদ্দিন, কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও মিরপুর উপজেলার সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল গফুর, কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য ফরহাদ হুসাইন এবং কুষ্টিয়া-৪ আসনে (কুমারখালী-খোকসা) আসনে কুমারখালী উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আফজাল হোসাইনকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।

কথা প্রসঙ্গে জেলা জামায়াতের আমির আবুল হাশেম বলেন, ‘নির্বাচন এক দিনে হয় না। আর প্রার্থী ঘোষণা না হলে কাজ আগানো যায় না। আগেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা ছিল; কিন্তু পারিপার্শ্বিক কারণে হয়নি। এখন গতি বাড়বে।’

দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়ে আবুল হাশেম আরও বলেন, ‘গোপন ব্যালটের ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এখানে প্রার্থী কে হবেন, তা বলার কোনো সুযোগ নেই। ব্যালটের ভোটে যে নির্বাচিত হবেন এবং কেন্দ্র যাঁকে পছন্দ করবে, তাঁকেই প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। কারও ব্যক্তি চাওয়া এখানে হয় না।’

আরও পড়ুনখুলনার ছয়টি আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা১৩ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ