রাজশাহীর পাঁচটি সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গতকাল রোববার রাতে রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে মজলিশে শুরার অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণা করা হয়। জামায়াতের রাজশাহী অঞ্চলের সহকারী পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

রাজশাহীতে ৯টি উপজেলা, সিটি করপোরেশনসহ মোট ৬টি সংসদীয় আসন। রাজশাহীর ৯ উপজেলা নিয়ে গঠিত ৫টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হলেও সদর আসনে প্রার্থী এখনো দেয়নি সংগঠনটি।

রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামীর প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি আশরাফুল আলম বলেন, এটা সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করবে জামায়াতে ইসলামী। আর রাজশাহী সদরের আসনের প্রার্থীও ঘোষণা করা হবে শিগগিরই।

রাজশাহীর পাঁচটি আসনের জামায়াতের প্রার্থীরা হলেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে পবা উপজেলার হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাশিয়াডাঙ্গা থানা জামায়াতের শুরা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে জামায়াতের রোকন আবদুল বারী সরদার, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মু.

নুরুজ্জামান লিটন এবং রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নাজমুল হক।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ