সতিনের নির্যাতন, বিচার চাইলেন তৃতীয় স্ত্রী
Published: 10th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
রাজধানীর হাজারীবাগ থানার বাসিন্দা হাফেজ আব্দুর রহিম খানের তৃতীয় স্ত্রী হনুফা বেগম। তার স্বামীর (রহিম খানের) মৃত্যুর পর থেকে তার সতীন (স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী) সালেহা আক্তার বাবলি তাকে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেছেন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নিম্ন আদালতে অবস্থিত কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির (সিআরইউ) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে হনুফা বেগম বলেন, ১৯৯৫ সালে হাফেজ আব্দুর রহিম খানের সঙ্গে আমার ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। পরে ২০১০ সালে বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়। আমি তার তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে সকল সম্পদ দেখাশোনা করতাম। সুখে শান্তিতে আমি সংসার করছিলাম। ২০২৩ সালের ২৪ মে আমেরিকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার স্বামী মারা যান। এরপরেই আমার ওপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। আমি ন্যায় বিচার চাই। আমার ওপর নির্যাতন বন্ধ করা হোক।
তিনি বলেন, বাবলি ও তার ছেলে শাহ নেওয়াজ (জাফরি) নির্যাতনসহ আমাকে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে। বাসার বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এখন আমি বিদ্যুৎহীনভাবে আছি।
হনুফা বেগম আরও বলেন, আমার সতিন (স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী) বাবলির চার সন্তান। কিন্তু আমার কোনো সন্তান নেই। বাবলি ও তার ছেলে শাহ নেওয়াজ আমাকে মেরে পা ভেঙ্গে দেয়। আমি তাদের নামে মামলা করেছি। কিন্তু শারিরীক নির্যাতনসহ আমার স্বামীর সকল সম্পদ হাতিয়ে নিতে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানিমুলক মামলা করে।
তিনি বলেন, এছাড়া হাজারীবাগে আমার বাসার বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংযোগ পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। আমার স্বামীর প্রথম স্ত্রীর চার সন্তান আমেরিকায় থাকে। তারা আমার প্রতি খুবই সদয়। কিন্তু দ্বিতীয় সতিন, তার প্রেমিক নূর করিম, সতিনের ছেলে শাহ নেওয়াজ আমার উপর নির্যাতন করে যাচ্ছে। আমি অসহায় জীবন যাপন করছি।
এসময় হানুফা বেগমের আইনজীবী সুফিয়ান নাহার (আখি) বলেন, আব্দুর রহিম খানের স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তাকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা চলছে। মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। হনুফা বেগমের সঙ্গে তার কোনো আত্মীয় যোগাযোগ করলেই তাদের সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভয় দেখানো হয়। আমার পরামর্শে অসহায় হনুফা বেগম বার বার থানায় গেলেও সেখান থেকে কোনো সহায়তা পাননি। তিনি আদালতে মামলা করেছেন। আমি চাই অসহায় এই নারী যেন ন্যায় বিচার পান।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: আম র স
এছাড়াও পড়ুন:
জিএম কাদের ‘মাইনাস’ গুঞ্জনের পর স্থগিত জাপার সম্মেলন
জাতীয় পার্টির (জাপা) দশম জাতীয় সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। ২৮ জুন রাজধানীর চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দলের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে এই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। তা স্থগিতের কথা জানিয়ে সোমবার জাপার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থান বরাদ্দ সাপেক্ষে সম্মেলনের তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে। সম্মেলন স্থগিতের তথ্য জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
২৮ জুন চীন মৈত্রীতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাজেট বিষয়ক সেমিনারে যোগ দেওয়ার কর্মসূচি থাকায় হল বরাদ্দ বাতিলের কারণ দেখিয়ে সম্মেলন স্থগিত করেছে জাপা। যদিও দলটির সূত্রের খবর, চেয়ারম্যান পদে জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন বর্তমান সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। মহাসচিব পদে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। তাঁরা জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছেন।
গত চার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে অংশ নিয়ে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ তকমা পেয়েছে শেখ হাসিনার শাসনামলে ‘গৃহপালিত’ বিরোধী দল হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জাপা। ৫ আগস্টের পর দলটি অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতাদের বিরোধিতার পর সরকার জাপাকে কোথাও ডাকছে না। এরপর থেকে জি এম কাদের সরকারের সমালোচকে পরিণত হয়েছেন।
তাঁর দলের কার্যালয়ে, ইফতার মাহফিলে হামলা হয়েছে। এতে চাপে পড়েছে জাপা। জি এম কাদেরও চাপে রয়েছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সম্মেলনে জিএম কাদের তিন বছরের জন্য দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২৪ সালের মার্চে রওশপন্থিরা একই নামে পৃথক দল গঠন করেন। কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা জি এম কাদেরকে ছেড়ে যান। তারাও জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।