বগুড়ায় মাটিডালির ড্রিম প্যালেস নামের এক আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ ৯ নারীসহ ১৬ জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাদের আটক করা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর রাকিব হোসেন। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের মাটিডালী এলাকায় অবস্থিত হোটেল ড্রিম প্যালেসে অভিযান চালানো হয়। এসময় অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ১৬ জনকে আটক করা হয়। 

তিনি আরও বলেন, আটক নারীদের বাড়ি বাগেরহাট, খুলনা, নওগাঁ, চাঁদপুর, গাজীপুর, নেত্রকোনা, শরীয়তপুর, দিনাজপুর ও গাইবান্ধা এলাকায়। অপরদিকে আটক পুরুষদের বাড়ি বগুড়ায়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। আটক নারীদের বগুড়া সদর থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে ওই আবাসিক হোটেলে এর আগেও আরও তিনবার অভিযান চালিয়ে একাধিক নারী-পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। হোটেলের মালিক সোহেল রানা ও ম্যানেজার মাহবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। তারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে এই অনৈতিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক

এছাড়াও পড়ুন:

হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা

সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল‌্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’ 

জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই ‍আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব‌্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।

সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।

তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"

"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন 

সম্পর্কিত নিবন্ধ