Risingbd:
2025-09-18@11:22:51 GMT

বুমরাহর ভাগ্য নির্ধারণ আজ

Published: 11th, February 2025 GMT

বুমরাহর ভাগ্য নির্ধারণ আজ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কি দেখা যাবে জসপ্রিত বুমরাহকে? ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য এই প্রশ্নটা মিলিয়ন ডলারের। ফিটনেসের অনিশ্চয়তা থাকায় তার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণ এখন পর্যন্ত অনিশ্চিত। তবে আজই তার ভাগ্য নির্ধারণ হতে যাচ্ছে। আইসিসির কাছে চূড়ান্ত দল জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আজ। ফলে সময়ের সেরা বোলারকে নিয়ে আজই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিসিসিআইকে। 

ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে বিসিসিআইয়ের সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে বুমরাহর পিঠের স্ক্যান করা হয়েছে। বিসিসিআইয়ের মেডিকেল স্টাফরা এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নির্বাচক এবং ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে সমন্বয় করবে।

গত ১৮ জুন ভারত সাম্ভাব্য ১৫ জনের তালিকা ঘোষণা করেছিল। যেখানে বুমরাহকে রেখেই নাম জমা দিয়েছিল ভারত। কিন্তু তার ফিটনেস নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। চলমান ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে শেষ ম্যাচটি তার খেলার কথা। কিন্তু ফিটনেসে উন্নতি না হওয়ায় তার খেলার সম্ভাবনা নেই। ফলে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরুর অপেক্ষায় থাকা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বুমরাহকে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশায় ভারত। 

গত জানুয়ারিতে সিডনি টেস্টে শেষ খেলেছেন বুহরাহ। পিঠের চোটের কারণে তাকে পাঁচ সপ্তাহের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। যেটা শেষ হওয়ার কথা ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে।

বুমরাহ পুরোপুরি ফিট হয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে না পারলে তার জায়গায় হারসিত রানাকে নিতে পারে ভারত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডে খেলেছেন ডানহাতি পেসার। 

তবে বুমরাহর জন্য অপেক্ষা করবে ভারত। ১১ ফেব্রুয়ারির পর স্কোয়াডে পরিবর্তন আনার সুযোগ আছে। সেক্ষেত্রে ইনজুরি কিংবা অন্য কোনো কারণে স্কোয়াডের ক্রিকেটারকে বাদ পড়তে হবে। সেক্ষেত্রে আইসিসিরি অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। 

ভারত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের গ্রুপে আছে। ২০ ফেব্রুয়ারি দুই দল নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এরপর ভারত পাকিস্তান ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে যথাক্রমে ২৩ ফেব্রুয়ারি ও ২ মার্চ।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’

ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।

আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।

রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।

রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।

কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?

কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।

রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।

রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।

এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।

রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ