ভাগ্যিস ফেব্রুয়ারির ১১ তারিখ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াড বদলের সুযোগ রেখেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তা না হলে, কি হতো একবার ভাবুন দেখি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য দল ঘোষণার পর সেই দল থেকে গুণে গুনে ৫ জন ক্রিকেটার ছিটকে গেলেন! সেই দলভুক্ত সব শেষ নামটি গতিদানব মিচেল স্টার্ক। ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি।

ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন স্টার্ক। এই টুর্নামেন্টের ঘোষিত স্কোয়াড থেকে চোটের জন্য সর্বপ্রথম ছিটকে গিয়েছিলেন অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। এরপর সেই পথ অনুসরণ করেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এবং আরেক পেসার জশ হ্যাজলউড। এসবের মাঝে হঠাৎ করেই ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দেম অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। সব মিলিয়ে টালমাটাল অবস্থা অজিদের। এই চোটের মিছিলে অস্ট্রেলিয়া তাদের দলের মূল পেসারদের কাউকেই পাচ্ছে না এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে।

আরো পড়ুন:

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০০২: দুইদিনেও হয়নি শিরোপার ফয়সালা

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের ম্যাচগুলোতে আম্পায়ার যারা

 

স্টার্ক কেন খেলবেন না, সেই ব্যাপারে পরিষ্কার করে জানাইনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেন, আমরা মিচের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি সর্বজনবিদিত। তার ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে খেলে যাওয়া এবং দেশের হয়ে খেলার জন্য ক্যারিয়ারের অন্যান্য সুযোগ ত্যাগ করাও প্রশংসনীয়। তার অনুপস্থিতি অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য একটি ধাক্কা, তবে এটি অন্য কাউকে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ দিচ্ছে।”

এদিকে এই ৫ ক্রিকেটারের বদলি হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে এসেছেন, শন অ্যাবট, বেন ডোয়ারশিস, জ্যাক ফ্রেজার–ম্যাগার্ক, স্পেনসার জনসন ও তানভীর সাংহা। আর অনুমেয় ভাবেই এই দলটির নেত্যৃত্বের ভার পড়েছে স্টিভেন স্মিথের উপর।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অস্ট্রেলিয়া দল:

স্টিভ স্মিথ (অধিনায়ক) অ্যালেক্স ক্যারি, নাথান এলিস, অ্যারন হার্ডি, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস, মারনাস লাবুশেন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ম্যাট শর্ট,  অ্যাডাম জাম্পা, শন অ্যাবট, বেন ডোয়ারশিস , জ্যাক ফ্রেজার–ম্যাগার্ক, স্পেনসার জনসন ও তানভীর সাংহা।

২২ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে মাঠের লড়াইয়ে নামবে টিম অস্ট্রেলিয়া। তবে তার আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে অজিরা; যার প্রথমটি এখন চলছে। 

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বেঙ্গালুরুতে ভারতের, কলম্বোতে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ

বাছাই পর্ব পেরিয়ে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। আট দলের এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে হাইব্রিড মডেলে। ভারতের চারটি ভেনু‌্যতে হবে সাত দলের সব ম‌্যাচ। পাকিস্তান নিজেদের ম‌্যাচগুলো খেলবে কলম্বোতে। 

৩০ সেপ্টেম্বর ভারত ও শ্রীলঙ্কার ম‌্যাচ দিয়ে শুরু হবে নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ম‌্যাচটি হবে বেঙ্গালুরুর চিন্নাসোয়ামি স্টেডিয়ামে। একই ভেনু্যতে বাংলাদেশ ও ভারত খেলবে। ২৬ অক্টোবর ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে কলম্বোতে খেলবে ২ অক্টোবর। 

রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে আট দলের টুর্নামেন্টে প্রথম পর্বে ম্যাচ হবে মোট ২৮টি। ভারতসহ ২০২২-২৫ আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ ছয় দল সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বকাপে। অন্য পাঁচ দল হলো- অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা। বাছাই পর্ব পেরিয়ে মূল পর্বের টিকেট পেয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।

আইসিসি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সূচি প্রকাশ করেনি।

পাকিস্তান পরের ধাপে কোয়ালিফাই করার ওপর নির্ভর করবে নক আউটের ভেনু্য। পাকিস্তান নক আউট পর্বে উঠলে শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ হবে। নয়তো নক আউট পর্বের সব ম্যাচই হবে ভারতে। সাম্ভাব্য সূচিও চূড়ান্ত হয়েছে। ২৯ অক্টোবর গৌহাটি কিংবা কলম্বোয় প্রথম সেমিফাইনাল। পরদিন ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় সেমিফাইনাল বেঙ্গালুরুতে। ২ নভেম্বর বেঙ্গালুরু বা কলম্বোয় হবে ফাইনাল। 

প্রসঙ্গত, সবশেষ আইসিসির ইভেন্ট চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচও হয়েছিল হাইব্রিড মডেলে। পাকিস্তানে বসেছিল সব ম্যাচ। ভারত সফর না করায় তাদের ম্যাচ হয়েছিল দুবাইয়ে।
 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ