শ্যামনগরে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ দুর্ধর্ষ হাসিম সরদারসহ তিন আ’লীগ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 13th, February 2025 GMT
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানের আওতায় দুর্ধর্ষ হাসিম সরদারসহ তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ। পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলামের নির্দেশনায় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুর রহমানের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড (গুমানতলী) আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিম সরদারকে সোনারমোড় মাছের আড়ৎ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে অপর দুই আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল কুদ্দুস (৪৭) ও সাহাবুদ্দীন গাজী (৫৫)-কে যথাক্রমে উপজেলার পশ্চিম কৈখালী ও মুন্সিগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত হাসিম সরদার গুমানতলী গ্রামের মোস্তফা সরদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। অন্যদিকে, পশ্চিম কৈখালী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.
শ্যামনগর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবীর মোল্যা জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের (মামলা নং ১৬/৩৩২, তারিখ ২৯ নভেম্বর) আওতায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শিশির হোসেনসহ অনেকেই জানিয়েছেন, হাসিম সরদার শ্যামনগরের আলোচিত সন্ত্রাসী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি জগলুল হায়দারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। বিগত সরকার পরিবর্তনের পরও তিনি নিজস্ব বাহিনী গড়ে তুলে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘের দখল ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী সরবরাহ ছিল তার মূল কাজ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে এবং অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় আরও অভিযান পরিচালনা করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর হ স ম সরদ র শ য মনগর আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলের আগ্রাসনের নিন্দা জানাল ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাস
ইসরায়েলের হামলার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাস।
সোমবার (১৬ জুন) এক বিবৃতিতে দূতাবাস জানিয়েছে, নিরীহ নারী ও শিশুদের শহীদ করার মতো অমানবিক ঘটনার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা জরুরি।
ইরানি দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই আগ্রাসন জাতিসংঘের সনদের দুই নম্বর ও চার নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে এটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের জাতীয় সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক আগ্রাসনের শামিল।
আরো পড়ুন:
প্যারিস এয়ার শো-তে ইসরায়েলি অস্ত্র নির্মাতারা নিষিদ্ধ
বিশ্লেষণ: ইসরায়েলিরা এখন বুঝতে পারছে ফিলিস্তিনি ও লেবানিজরা কী ভোগ করছে
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদের আলোকে ইরানের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।
দূতাবাসের বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ, ইসলামি দেশগুলো এবং নিরপেক্ষ আন্দোলনরত রাষ্ট্রগুলোকে দ্রুত ও কার্যকর প্রতিক্রিয়া জানানোর আহ্বান জানানো হয়। তারা বলেন, এই আগ্রাসন শুধু ইরানের সার্বভৌমত্ব নয়, বরং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার বিরুদ্ধে একটি গুরুতর হুমকি।
শেষে ইরানি দূতাবাস স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে, এই আগ্রাসনের ভয়াবহ পরিণতির পূর্ণ দায় জায়োনবাদী শাসকদেরই বহন করতে হবে।
ঢাকা/হাসান/সাইফ