সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে উপজেলা তাঁতীলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক (৪৬) ও মাসুদ হোসেন (৪০) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বাদঘাটা ও চুনাবিজ্র এলাকায় পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং বর্তমানে তাঁতীলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাককে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উপজেলার গাবুরায় গত ২৯ নভেম্বর সংঘটিত বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর অভিযানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেছনের সড়ক থেকে মাসুদ হোসেনকে আটক করা হয়। পরে তাকে শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং শুক্রবার সকালে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

মাসুদ হোসেন শ্যামনগর পৌরসভার বাদঘাটা গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ মুজিবর রহমানের ছেলে। জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মিছিল চলাকালে তিনি যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় মারাত্মক আহত হয়েছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ য মনগর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরায় পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ২

সাতক্ষীরায় পৃথক দুর্ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ি ও শ্যামনগর উপজেলার তারানপুরে এদুটি দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়নের কাকডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে নাঈম হাসান (১৮) এবং শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের তারানপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মাও. ফজলুর রহমান (৫৫)। 

নিহত নাঈম হোসেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং ফজলুর রহমান শ্যামনগর উপজেলার দরগাহপুর এনডিএস মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক।

কেড়াগাছি গ্রামের শহীদুল ইসলাম জানান, তার ছেলে নাঈম হাসান ২০২০ সালে সেনাবাহিনীতে চাকরি পাওয়ার পর রাজশাহীতে চার মাস প্রশিক্ষণ দিয়ে বাড়ি চলে আসে। বর্তমানে সে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশুনা করার পাশপাশি সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মোহরার হিসেবে কাজ করতেন। 

প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালে সে কর্মস্থলে আসার উদ্দেশ্যে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি থেকে বের হয়। পথিমধ্যে আগরদাড়ি মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে সাতক্ষীরা থেকে বাঁশদহাগামি একটি পণ্যভর্তি ট্রাক (যার নাম্বার যশোর-ট-১১-১৬৫৬) তার মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। 

স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘেষেণা করেন। বিক্ষুদ্ধ জনতা এসময় ঘাতক ট্রাকটি আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক রাশেদুজ্জামান জানান, হাসপাতালের আনার আগেই নাঈমের মৃত্যু হয়।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামিনুল হক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, শ্যামনগরের তারানপুর গ্রামে বিদ্যুৎ স্পর্শে মাওলানা ফজলুর রহমান নামে এক মাদ্রাসা প্রভাষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টার দিকে নিজ বাড়ির প্রাচীরে মোটর দিয়ে পানি দেওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কারো কোন অভিযোগ না থাকায় প্রভাষক ফজলুর রহমানের মরদেহ পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়েছে।

ঢাকা/শাহীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরায় পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ২