ল্যারি পেজের সঙ্গে বন্ধুত্ব নষ্টের পেছনে এআই, জানালেন ইলন মাস্ক
Published: 14th, February 2025 GMT
টেসলা, স্পেসএক্স ও নিউরালিংকের প্রতিষ্ঠাতা ও এক্সের মালিক ইলন মাস্কের সঙ্গে একসময় দারুণ বন্ধুত্ব ছিল গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের; কিন্তু কয়েক বছর ধরেই তাঁদের মধ্যে আর বন্ধুত্বের সম্পর্ক নেই। এ বিষয়ে প্রযুক্তিবিশ্বে কানাঘুষা থাকলেও এবার ল্যারি পেজের সঙ্গে বন্ধুত্ব নষ্টের কারণ নিজেই জানিয়েছেন ইলন মাস্ক। নিজের মালিকানাধীন এক্সে প্রকাশিত এক ভিডিওতে ল্যারি পেজের সঙ্গে তার পুরোনো বন্ধুত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়ে ইলন মাস্ক জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার ও সুরক্ষাপদ্ধতি নিয়ে মতবিরোধের কারণে ল্যারি পেজের সঙ্গে এখন আর বন্ধুত্বের সম্পর্ক নেই।
ল্যারি পেজ ছিলেন ইলন মাস্কের ভালো বন্ধুদের একজন। ইলন মাস্ক ওপেনএআই শুরুর সময় গুগলের শীর্ষস্থানীয় এআই বিজ্ঞানী ইলিয়া সুটস্কেভারকে নিয়োগ করেন। এই নিয়োগের কারণেই ইলন ও ল্যারির মধ্যে কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। তখন ল্যারি ইলনকে বিশ্বাসঘাতক বলে অভিহিত করেছিলেন।
আরও পড়ুনইলন মাস্ক সম্পর্কে চমকপ্রদ ২১ তথ্য, যা হয়তো আপনার অজানা২২ নভেম্বর ২০২২জানা গেছে, ল্যারি পেজের সিলিকন ভ্যালির বাসায় একসময় থাকতেন ইলন মাস্ক। তাঁদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক এতটাই গভীর ছিল যে ২০১৬ সালে মার্কিন সাময়িকী ফরচুন ইলন মাস্ক ও ল্যারি পেজকে প্রযুক্তি জগতের সেরা বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেছিল। তবে এআইয়ের সম্ভাব্য ব্যবহার ও বিপদ সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন মতামতের কারণে তাদের বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যায়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুন২৬ বছর আগের ইলন মাস্কের যে ‘প্রলাপ’ এখন বাস্তব ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ইলন ম স ক র বন ধ ত ব বন ধ ত ব র
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানা আজগর আলীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত আল-আমিন নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আজগর আলী রায়দক্ষিণ গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিকের ছেলে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, যে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা, তার মা পাঁচ বছর আগে মারা যান। মেয়েটি নানা আজগর আলীর বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে শিশুটিকে প্রায় উত্ত্যক্ত এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আল-আমিন। এ নিয়ে আজগর আলীসহ মেয়েটির স্বজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত সোমবার মেয়েটির নানা আজগর আলী সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার অভিযোগটি তদন্ত করার পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যায়। তারা বৃদ্ধ আজগর আলীকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজগর আলীর শ্যালক নজরুল ইসলাম জানান, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত বখাটে আল-আমিন।
সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, নিহতের বড় ছেলে আইয়ুব খান বুধবার আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।