এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও ক্লিপ যুক্ত করা যাবে ইউটিউব শর্টসে
Published: 14th, February 2025 GMT
ছোট আকারের ভিডিও সহজে তৈরি ও আদান-প্রদানের সুযোগ থাকায় তরুণ-তরুণীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় ইউটিউব শর্টস। আর তাই এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত ভিডিও তৈরির সুযোগ দিতে ইউটিউব শর্টসে গুগলের ‘ভিও২’ এআই ভিডিও মডেল যুক্ত করেছে ইউটিউব। বর্তমানে নির্দিষ্ট দেশের ব্যবহারকারীরা গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেলটি কাজে লাগিয়ে দ্রুত ও সহজে ইউটিউব শর্টসের জন্য ভিডিও তৈরির সুযোগ পাচ্ছেন।
গুগল জানিয়েছে, গুগলের তৈরি ‘ভিও ২’ ভিডিও মডেলটি এখন থেকে ইউটিউবের ড্রিম স্ক্রিন সুবিধার সঙ্গে যুক্ত থাকবে। ফলে ব্যবহারকারীরা ভার্চ্যুয়াল ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়াও এআই দিয়ে সম্পূর্ণ ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে তা সরাসরি শর্টস কনটেন্টে যুক্ত করতে পারবেন।
আরও পড়ুনইউটিউবের প্রথম ভিডিও কোনটি, কে আপলোড করেছিলেন২৮ জানুয়ারি ২০২৩গুগলের তথ্যমতে, এআই দিয়ে ভিডিও ক্লিপ তৈরির জন্য শর্টস ক্যামেরা চালু করে মিডিয়া পিকার অপশনে যেতে হবে। এরপর ওপরের দিকে থাকা ক্রিয়েট বাটন নির্বাচন করে ব্যবহারকারীরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বার্তা লিখে ভিডিও তৈরির নির্দেশনা দিতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের ব্যবহারকারীদের জন্য এই সুবিধা চালু করা হয়েছে। ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশেও সুবিধাটি চালু হবে।
আরও পড়ুনকম গ্রাহক এমন চ্যানেলের ভিডিও জনপ্রিয় করার উদ্যোগ নিচ্ছে ইউটিউব০১ জুলাই ২০২৪এআই দিয়ে তৈরি ভিডিওর কারণে দর্শকেরা যেন বিভ্রান্ত না হন, সে জন্য প্রতিটি ভিডিওতে দৃশ্যমান লেবেল ও গুগলের সিন্থআইডি নামের অদৃশ্য ওয়াটারমার্ক যুক্ত করে দেবে ইউটিউব। ফলে ব্যবহারকারীরা সহজেই বুঝতে পারবেন, কোন কোন ভিডিও এআই ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
সূত্র: দা ভার্জ
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক ত কর ব যবহ র এআই দ য়
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।