ঢাকার সাভারে যাত্রীবাহী বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাধা দিলে বাসের হেলপার ও দুই যাত্রীকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা।

শুক্রবার দুপুরে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বাসটির কয়েকজন যাত্রী জানান, শুভযাত্রা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস মানিকগঞ্জ থেকে গুলিস্তানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সাভারের ঢাকা–আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় যাত্রী নেওয়ার জন্য বাসটি থামানো হয়। এ সময় দুই ছিনতাইকারী ধারালো চাকু হাতে বাসে উঠেই সামনের দিকের যাত্রীদের তল্লাশি করে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা কয়েকজন নারীর গলা থেকে চেইন কেড়ে নেয়। একপর্যায়ে বাসের পেছনের দিকের যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের সময় কয়েকজন বাধা দেন। এ সময় ছিনতাইকারীরা তাদের ছুরিকাঘাত করে বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী এক নারী যাত্রী বলেন, আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি গেট থেকে ধানমন্ডি যাওয়ার জন্য শুভযাত্রা বাসটিতে উঠেছিলাম। ব্যাংক টাউন পার হওয়ার পর যাত্রীবেশে দুইজন ছিনতাইকারী বাসে উঠেন। তারা আমার গলা থেকে সোনার চেইন ছিনিয়ে নিয়েছে। পরে তারা বাসের পেছনের যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের সময় অন্য যাত্রীরা বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা বাসের হেলপারসহ কয়েকজনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া বলেন, বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন আত্মঘাতী ড্রোন উন্মোচন করল ইরান

নতুন আত্মঘাতী ড্রোন উন্মোচন করেছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) অ্যারোস্পেস ফোর্স। নাম দেওয়া হয়েছে ‘শাহেদ-১০৭’। স্থানীয় সময় সোমবার নতুন এই ড্রোনটি প্রকাশ্যে আনা হয়। খবর তেহরান টাইমসের।

খবরে বলা হয়, এই ড্রোনটি শত্রু লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে আত্মঘাতী অভিযানে ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

ড্রোনটির প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, এটি একটি পিস্টন ইঞ্জিন দ্বারা চালিত। ফলে ড্রোনটি প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে উড়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে।

সম্প্রতি প্রকাশিত কিছু ছবিতে দেখা গেছে, নতুন আবিষ্কার করা ড্রোনটি দেখতে অনেকটা শাহেদ-১০৭ এর মতো। সেটি ইসরায়েলি অধিকৃত অঞ্চলের ওপর দিয়ে ‘অ্যারো ৩’ আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার কাছে পৌঁছে গেছে। তাই এটি প্রমাণ করে যে, নতুন ইরানি ড্রোনটি ইসরায়েলের বহুস্তরবিশিষ্ট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভেতরে ঢুকে পড়তে সক্ষম হবে।
 
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি শাহেদ-১০৭ ড্রোন দলগতভাবে ব্যবহার করা হয়, তবে তা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ