সম্মেলনের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয় ২০২১ সালের শুরুর দিকে। এর প্রায় চার বছর পর গত বৃহস্পতিবার পূর্ণাঙ্গ কমিটির নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল শুক্রবার ভৈরব পৌর বিএনপির ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকাটি ফেসবুকে প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এতে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সই ছিল। আগেই এ কমিটির সভাপতি হিসেবে ভৈরব পৌরসভার সাবেক মেয়র শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ভৈরব সরকারি হাজী আসমত কলেজের সাবেক ভিপি মজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।

নতুন তালিকায় ১১ জনকে সহসভাপতি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন নজরুল ইসলাম সরকার, জিল্লুর রহমান, আকতারুজ্জামান, আনিস উল্লাহ, জসিম উদ্দিন, কবির আহমেদ বকশী, আসলাম মোল্লা, জোসেফ খান, সোলায়মান সরকার, বদরুজ্জামান বাচ্চু ও মনজিল মিয়া। এ ছাড়া চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হলেন মাসুদুর রহমান লিটন মোল্লা, মাহবুবুর রহমান, মাজহারুল ইসলাম ও সেলিম রেজা। এতে দুজনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। তাঁরা হলেন জাকারিয়া ফারুক ও জাহেদুল হক।

দলীয় সূত্র জানায়, রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিবেশ আর প্রতিপক্ষ দলের মামলা-হামলার কারণে এত দিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা যায়নি। সামনে জাতীয় নির্বাচন। সবকিছু মাথায় রেখে পৌর কমিটির কাছ থেকে ভালো নেতৃত্বের আশায় গতকাল বৃহস্পতিবার সম্মেলন ছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের মাধ্যমে সবার নজরে আনা হয়।

কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান জানান, দলের জন্য ত্যাগ আছে অথচ বঞ্চিত ছিলেন, তাঁদের অগ্রাধিকার দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প র ণ ঙ গ কম ট ব এনপ র স র রহম ন ল ইসল ম কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

‎নামাজরত বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ৩ পুলিশ আহত

‎পাবনায় নামাজরত অবস্থায় নিজাম প্রামানিক (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোস্তফা প্রামানিককে আটক করেছে পুলিশ। তাকে আটক করতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন সদর থানার তিন উপ-পরিদর্শক (এসআই)।

রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের পুরাতন ভাদুরডাঙ্গী গ্রামে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। ‎‎পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ

মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবক নিহত

‎নিহত নিজাম প্রামাণিক একই গ্রামের মৃত ইন্তাজ প্রামানিকের ছেলে। তিনি কৃষি কাজ করতেন। অভিযুক্ত মোস্তফা প্রামাণিকও কৃষকের কাজ করতেন। নিহত এবং অভিযুক্ত সম্পর্কে বাবা-ছেলে।

‎পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত নিজাম প্রামানিক নতুন বাজারে দুধ বিক্রি করে রবিবার সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরেন। খাবার শেষে এশার নামাজ পড়তে দাঁড়ান তিনি। এ সময় ঘরে প্রবেশ করে দরজা আটকিয়ে হাঁসুয়া দিয়ে নিজাম প্রমানিককে কুপিয়ে হত্যা করেন মোস্তফা। পরে তিনি পাশের ঘরে গিয়ে বসে থাকেন। অভিযুক্তকে ঘরের ভেতরে তালাবদ্ধ রেখে পুলিশকে খবর দেন স্বজন ও এলাকাবাসী। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আটকের সময় অভিযুক্তের ছুরিকাঘাতে সদর থানার এসআই আবু বকর সিদ্দিক, এসআই জিয়াউর রহমান, এসআই আবু রায়হান আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে এসআই জিয়াউর রহমানকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

‎নিহতের অপর ছেলে মিজানুর রহমান বলেন, “আমরা খাবার শেষে রুমে শুয়ে ছিলাম। এমন সময় রুম আটকিয়ে নামাজরত অবস্থায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে মোস্তফা। এর আগেও সে আমাকে মেহগনি ঢাল দিয়ে মারধর করে মারাত্মক আহত করেছিল। আজকে (রবিবার) হত্যা করতে গামছার মধ্যে হাঁসুয়া নিয়ে আমাকে মাঠের মধ্যে গিয়ে খুঁজাখুঁজি করেছে। বাড়ির লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাকে সতর্ক করে।” 

‎তিনি আরো বলেন, “সে মাদকের জন্য প্রায়ই বাবা ও আমাদের থেকে টাকা চাইতো। না দিলেই বাড়িতে ভাঙচুর চালাতো। তার শাস্তি হওয়া উচিত।”

‎পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তাকে আটক করতে গিয়ে তিনজন এসআই আহত হয়েছেন।” 
 

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ