গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির হেডকোয়ার্টার্সে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স টিমের উপস্থিতিতে বিশেষ অগ্নি ও জরুরি বহির্গমন মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেইফটি (ইএইচএস) বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশন এই বিশেষ মহড়ার আয়োজন করে। এতে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের কর্মরতরা অংশগ্রহণ করেন।

অগ্নিনির্বাপণ ও অন্যান্য বহির্গমন ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও ব্যবহারিক প্রয়োগে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নেন তারা। জরুরি বহির্গমন মহড়ায় ফায়ার এক্সটিংগুইসার, ফায়ার হাইড্রান্টের ব্যবহারিক প্রয়োগ, আগুন লাগলে ও অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয় এবং আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার ও নিরাপদ প্রস্থান বিষয়ে আলোচনা হয়।

আরো পড়ুন:

যেকোনো ব্র্যান্ডের পুরাতন এসির বদলে ২৫ শতাংশ ছাড়ে ওয়ালটনের নতুন এসি

দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে ওয়ালটনের মুনাফা ৩০৪ কোটি টাকা 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন,“সবার অগ্নিনির্বাপণ, জরুরি উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক জ্ঞান থাকা জরুরি। এতে করে জরুরি অবস্থায় আগুন থেকে বাঁচা এবং বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। জরুরি পরিস্থিতিতে দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ শ্রম বিধি অনুযায়ী ভবনে কর্মরত সবার প্রস্তুতি বাড়ানোর লক্ষ্যে এই ধরনের মহড়া অপরিহার্য। ওয়ালটন সর্বদা এই বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করে আসছে। সেই সাথে বাংলাদেশের সমসাময়িক বিভিন্ন অস্থিতিশীল পরিস্থিতেতে সবার করণীয় সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।”

ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো.

মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, “পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অগ্নিনিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মূলত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার অনুপস্থিতি বা অভাব, নির্গমন পথের স্বল্পতা এবং সর্বোপরি প্রশিক্ষণ ও সচেতনতার অভাব বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির জন্য দায়ী। অসতর্কতা অগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণ। তাই প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।”

এছাড়া মহড়ায় রেফ্রিজারেটর ফ্যাক্টরি-৩ এর ইনচার্জ ইঞ্জিনিয়ার মো. নূর কাউসার, প্রশাসন বিভাগের মো. কায়সারুল ইসলামসহ অন্যান্য বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সিনিয়র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়। আপৎকালীন সময়ে সুশৃঙ্খলভাবে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্রুততম সময়ে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া ও কোম্পানির সম্পদ রক্ষার জন্য, এই মহড়াটি কয়েকটি কার্যকরি দলে বিভক্ত ছিল।ওয়ালটন ইএইচএস বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের ইনচার্জ ইঞ্জিনিয়ার মো. ইশাদুল ইসলাম সঞ্চালনায় ছিলেন।

ঢাকা/পলাশ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জমকালো আয়োজনে ওয়ালটনে বিশ্ব ওজোন দিবস পালন 

১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ওজোন দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো—‘বিজ্ঞান থেকে বৈশ্বিক পদক্ষেপ’ বা ‘বিজ্ঞানসম্মত কর্ম, ওজোন রক্ষায় বর্ম’।

এ প্রতিপাদ্য ওজোন স্তর সুরক্ষার যাত্রাকে তুলে ধরে, যা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল এবং মন্ট্রিল প্রটোকলের মতো আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে একটি সম্মিলিত বৈশ্বিক পদক্ষেপে পরিণত হয়েছে। এটি পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সাফল্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে।

নানা আয়োজনে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগের উদ্যোগে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সে বিশ্ব ওজোন দিবস পালন করা হয়েছে। 

বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্স প্রাঙ্গণ। র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী, ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজুসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। 

র‍্যালি শেষে আলোচনা সভা করা হয়। এতে ওজোন স্তর সুরক্ষায় করণীয় ও ওয়ালটনের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। 

ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী বলেছেন, “প্রতি বছর ১৬ সেপ্টেম্বর, বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব ওজোন দিবস। এ দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হলো—আমাদের পৃথিবীকে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করা এবং ওজোন স্তরের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বিশ্ব ওজোন দিবস-২০২৫ এর প্রতিপাদ্য হলো—‘বিজ্ঞান থেকে বৈশ্বিক পদক্ষেপ’। এটি কেবল একটি শ্লোগান নয়, বরং মানবজাতির সম্মিলিত সাফল্যের একটি প্রতিচ্ছবি, যেখানে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার পথ দেখিয়েছে এবং বিশ্ব সম্প্রদায় সেই পথে ঐক্যবদ্ধভাবে হেঁটেছে।” 

তিনি ওজোন স্তরকে রক্ষা করতে ওয়ালটনের নানা পদক্ষেপ সম্পর্কে উপস্থিত সবাইকে অবগত করেন। এরকম সচেতনতামূলক সভা আয়োজনের জন্য ইএইচএস বিভাগকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থপনা পরিচালকের বিজনেস কো-অর্ডিনেটর প্রতিক কুমার মোদক বলেন, “ওজোন স্তর হলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা স্ট্রাটোস্ফিয়ারে অবস্থিত। এটি তিনটি অক্সিজেন পরমাণু (O3) নিয়ে গঠিত একটি গ্যাসীয় স্তর। ওজোন স্তর সূর্যের অতিবেগুনি (UV) রশ্মির প্রায় ৯৭-৯৯ শতাংশ শোষণ করে নেয়। এই রশ্মি যদি সরাসরি পৃথিবীতে পৌঁছাত, তবে তা মানব স্বাস্থ্য (ত্বকের ক্যান্সার ও ছানি), উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতো। ওজোন স্তর তাই পৃথিবীর জন্য একটি প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে কাজ করে। ওয়ালটন কতটুকু পরিবেশবান্ধব উপায়ে পণ্য উৎপাদন করে, সেটার সাথে আপনারা কম-বেশি সবাই পরিচিত। একে অপরের সাথে এ বিষয়ে সমন্বয়ের উদ্দেশ্যেই মূলত আজকের এই আয়োজন।"

ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, “ওয়ালটন দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। রেফ্রিজারেটর এবং এসি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওয়ালটন ওজোন স্তর ধ্বংসকারী পদার্থ যেমন: ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFCs) এবং হাইড্রোফ্লুরোকার্বন (HCFCs) এর ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করেছে। এর পরিবর্তে, আমরা এমন রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করছি, যা ওজোন স্তরের ক্ষতি করে না এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ওপরও কম প্রভাব ফেলে। এ ধরনের পরিবেশবান্ধব রেফ্রিজারেন্টগুলো এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উন্নয়নের সম্পর্কে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।” 

ভবিষ্যতে আরো উন্নত এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি আবিষ্কারের জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবনের পরিকল্পনা সম্পর্কে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, “এর মাধ্যমে এমন নতুন শীতলীকরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা সম্ভব, যা পরিবেশের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে রেফ্রিজারেটর এবং এসি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ওজোন স্তর এবং সামগ্রিক পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।” 

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন—ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির এসি প্রডাক্টের ডেপুটি বিজনেস কো-অর্ডিনেটর শামিম আহমেদ, কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কো-অর্ডিনেটর সৈয়দ আবদুল্লাহ রাজু, ফাস্টেনার প্রডাক্টের ডেপুটি বিজনেস কো-অর্ডিনেটর (ডিসিবিও) আলমগির হোসেন, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগীয় প্রধান মো. কাওসার উদ্দীন চৌধুরী, রেফ্রিজারেটর উৎপাদন বিভাগীয় প্রধান মো. নাসির উদ্দীন, কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মোহন কুমার পাল, মোবাইল উৎপাদন বিভাগের প্রধান মো. মনির হোসেন, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান মো. কামরুল হাসান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান টি এম জাকির হোসাইন, গবেষণা ও উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান (এসি) আরিফুল ইসলাম, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান (ইএপি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান (এসি) মো. আসিব-উল-হক ভূঁইয়া, সিকিউরিটি সেকশনের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. আবদুল্লাহ আল-মামুন, গবেষণা ও উদ্ভাবন বিভাগের মো. গোলাম রাব্বানি, ইএইচএস বিভাগের ব্লক কো-অর্ডিনেটর এবং ইনচার্জগণসহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা। 

অনুষ্ঠানের সার্বিক সমন্বয় করেছে ইএইচএস টিম, ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্স। উপস্থিত অতিথিদের মাঝে ‘লাইফ সেভিং কার্ড‘ বিতরণের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জমকালো আয়োজনে ওয়ালটনে বিশ্ব ওজোন দিবস পালন