দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে বিএসএফের বাধার মুখে ৪ দিন থেকে বন্ধ রয়েছে রেলওয়ে ব্রিজ সংস্কার কাজ। এ বিষয়ে বিজিবি-বিএসএফ ৩ দফা পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ রেল ব্রিজটির সংস্কার কাজ।

হিলি রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার ওয়ার্কসের কার্যসহকারী গোলাম মোস্তফা জানান, হিলি সীমান্ত এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত রেললাইন। সেই রেললাইনের ব্রিজের নিচের অংশের পাথর সরে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাই সেটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার সেই ব্রিজটি সংস্কার শুরু করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাধা দেয়। এরপর বিষয়টি বিজিবিকে জানালে তারা কয়েকবার পতাকা বৈঠক করেও কোনো সমাধান দিতে পারেনি।

এদিকে হিলি বিজিবি আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার শাহাদৎ হোসেন জানান, এ বিষয়ে কয়েকবার কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সমাধান হয়নি। আজ রোববার ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে কথা হয়েছে। আগামীকাল থেকে কাজ চালু হতে পারে।

২০ বিজিবি জয়পুরহাট ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে.

কর্নেল নাহিদ নেওয়াজ জানান, বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা অনুমতি দিয়েছে। সোমবার থেকে রেল কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করতে পারবে। আশাকরি বিএসএফের পক্ষ থেকে আর কোন বাধা আসবে না।   
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ কম ন ড র ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী