বরগুনায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় স্বামী
Published: 17th, February 2025 GMT
বরগুনায় আসমা বেগম (৩৫) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী আবুল কালামের (৩৮) বিরুদ্ধে। পুলিশ বলছে, হত্যার পর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন তিনি।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌর শহরের বাগানবাড়ি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ দম্পতির রাকা মনি ও রাফি নামের দুই ছেলে–মেয়ে রয়েছে।
প্রতিবেশী তৌহিদ মিজান বলেন, ‘‘গতকাল সন্ধ্যায় আসমার সন্তানদের ডাক-চিৎকার শুনে এগিয়ে যাই। এ সময় আসমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।’’
নিহতের মেয়ে রাকা মনি বলে, ‘‘রবিবার বিকেলে বাবা কোমল পানীয় খাওয়ায়। এরপর আর কিছু মনে নেই। সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠে দেখি, মা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।’’
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক হিমেল পাল বলেন, ‘‘আসমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।’’
আসমার ভাই জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘‘আমার বোনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে আবুল কালাম। কমপক্ষে ২০টি কোপ দিয়েছে। আবুল কালামের ফাঁসি চাই।’’
বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘‘স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন আবুল কালাম। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
জানা যায়, নিহত আসমা বেগম পূবালী ব্যাংক বরগুনা শাখার কর্মচারী ছিলেন। তিনি জেলার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ এলাকার ইউনুস হাওলাদারের মেয়ে।
ঢাকা/ইমরান/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আয়কর ফাঁকির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিন
আয়কর ফাঁকির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিন ইসলাম। এই মামলায় ১৭ বছর আগে তাঁর জেল-জরিমানা হয়।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ আজ মঙ্গলবার সকালে শাহরিন ইসলাম আত্মসমর্পণ করেন, জামিনের আবেদন জানান।
প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাহরিন ইসলামের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন ও শেখ সাকিল আহমেদ রিপন।
আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, শাহরিন ইসলাম অসুস্থ। তিনি নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৭ বছর আগে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য আয়কর অধ্যাদেশের মামলায় তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। আজ তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান।
আইনজীবীদের তথ্য অনুযায়ী, ৮১ লাখ টাকা আয়কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে শাহরিন ইসলামকে আট বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া তাঁকে ৯২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জামিনের আবেদনে শাহরিন ইসলাম উল্লেখ করেছেন, তিনি ১৯৯৮-১৯৯৯ কর বছর থেকে ২০০৬-২০০৭ কর বছর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। তিনি সেখানে তাঁর সব সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেছেন। বিচারিক আদালত থেকে তিনি ন্যায়বিচার পাননি।