বগুড়ায় বিদ্যালয়ছাত্র মো. ফাহিম (১৮) হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে বগুড়া শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সাতমাথায় মানববন্ধন করে ফয়জুল্লাহ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং চকফরিদ এলাকাবাসী।

মানববন্ধন থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ ব্যর্থ হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

নিহত মো.

ফাহিম শহরের ফয়জুল্লাহ উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র এবং চকফরিদ কলোনি এলাকার মো. ফরহাদ হোসেনের ছেলে। ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বগুড়া শহরের কলোনি এলাকার সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে ফাহিমকে হত্যা করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বগুড়ার বনানী ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ফজলে এলাহী বলেন, ফাহিম হত্যা মামলায় মো. রাব্বী (১৯) নামের গ্রেপ্তার এক আসামি বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য আসামিরা আত্মগোপনে আছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

গ্রেপ্তার মো. রাব্বী সোনাতলা উপজেলার হরিখালি ইউনিয়নের সাতগ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে। রাব্বী পেশায় নির্মাণশ্রমিক। তিনি মা-বাবার সঙ্গে শহরের চকফরিদ কলোনি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।

পুলিশ জানিয়েছে, জবানবন্দিতে রাব্বী বলেছেন, ফাহিমকে হত্যার জন্য তাঁর সহপাঠী তরিকুল ইসলাম তাঁদের (রাব্বী ও অন্য আসামিরা) ভাড়া করেন। তরিকুলের কাছ থেকে ৫০০ টাকা কেড়ে নেওয়ার জেরে ফাহিমকে হত্যা করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফাহিমের বাবা ফরহাদ হোসেন বগুড়া সদর থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এতে রাব্বীর নামও উল্লেখ করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন লতিফপুর কলোনি এলাকার মো. সীমান্ত (২১), একই এলাকার তরিকুল ইসলাম (১৯), গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাগ্রামের জাকির হোসেন (২০) এবং বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেজোড়া গ্রামের শ্রাবণ (১৯)। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও চারজনকে।

আরও পড়ুনবগুড়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র খুন১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনবগুড়ায় স্কুলছাত্র ফাহিম হত্যার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই আদালতে একজনের স্বীকারোক্তি১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) দ্রুত তফসিল ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘হয় মোদের চাকসু দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’, ‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’, ‘চাকসু মোদের অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’—এমন স্লোগান দেন। 

আরো পড়ুন:

আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জে বিশ্বে তৃতীয় ইউআইইউ

জবির প্রভাবশালী আওয়ামীপন্থি ‘ক্যাডার’ শিক্ষকরা যেখানে আছেন

আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রিয়াদ বলেন, “জুলাই মাসে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ হওয়ার ঘটনাগুলো আমাদের জানা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীও সে সময় শহীদ হয়েছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই সবার আগে চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা ছিল, কিন্তু এখনও কোনো অগ্রগতি নেই। অথচ ডাকসু, রাকসু, জাকসুর তফসিল ঘোষণা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নীতিমালা অনুমোদনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এরপর আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। “যদি তা না হয়, তাহলে আমরা দুর্বার ছাত্রআন্দোলনের দিকে যাব,” বলেন তিনি।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, “দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এরইমধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা এতদিন রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, এখন আর রোডম্যাপ নয়—তফসিল চাই।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে সক্রিয় ছাত্র সংসদ। তাই আগামী আগস্টের প্রথম সপ্তাহে তফসিল এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন চাই।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “আগামী ১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নীতিমালা চূড়ান্ত হলে নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণা করবেন।” 

চাকসু গঠনের ধারণা মূলত এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর আদলে। বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়।

১৯৭০ সালে চাকসুর প্রথম কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৮ মে। এই নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল বিজয়ী হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আর কোনো চাকসু নির্বাচন হয়নি।

২০২৫ সালে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হওয়ায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকসুর মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও চাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছেন। 

ঢাকা/মিজানুর রহমান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দর নির্বাচনী আসনকে দুই ভাগে বিভক্তি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন 
  • অনশনের পর ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পেলেন ছয় সমন্বয়ক
  • জকসুর পথরেখা ও সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম
  • জকসুর রোডম্যাপ ও সম্পূরক বৃত্তি দাবি শিক্ষার্থীদের
  • সোনারগাঁয়ে মাদ্রাসায় কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
  • রূপগঞ্জে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
  • ফতুল্লায় জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন
  • না’গঞ্জে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মানববন্ধন : হুশিয়ারী
  • না’গঞ্জে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মানববন্ধন, হুশিয়ারী
  • ‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’