প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা থাকে সবার। বাংলাদেশের উল্টো কমল কি না—   এখন এই প্রশ্ন উঠে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। ডিসেম্বরের পর ওয়ানডে সংস্করণের কোনো ম্যাচ না খেলেই নামতে হচ্ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। ওই ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের সামনে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচটিতে।

সেই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে গেল পাকিস্তান শাহিনসের কাছে। পাকিস্তান ‘এ’ দলই শাহিনস নামে পরিচিত। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা দলটিকে পুরোপুরি ‘এ’ দল বলারও উপায় নেই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে দলগুলোর প্রস্তুতিতে সাহায্য করার শাহিনস নামে তিনটি দল গড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সেই তিন শাহিনসের একটির বিপক্ষে আজ দুবাইয়ে নাজমুল হোসেনের দল ৩৮.

২ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ২০২ রান করে। ৩৪.৫ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখেই জিতে যায় পাকিস্তান শাহিনস।

বাংলাদেশের তিন বোলার নাহিদ রানা, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানজিম হাসান একটি করে উইকেট নেন। শাহিনসের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬২ বলে ৭৬ রান করেন মোহাম্মদ হারিস, অপরাজিত থেকে ৬৫ রান করেন মুবাসির খান।

মাহমুদউল্লাহ ব্যাট করেননি আজ

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ